প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারনায় বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাঠ অনেকটাই সরগরম। যে যার মতো করে ভোটারদের কাছে গিয়ে দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি চাচ্ছেন নিজের জন্য ভোট।তবে এরই মধ্যে ৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় বিজয়ীও হয়ে গেছেন।যারমধ্যে ৩ জন সাধারণ আসনে ও সংরক্ষিত আসনে ১ জন কাউন্সিলর রয়েছেন।আর সংরক্ষিত ৪ আসনে (ওয়ার্ড নং-১০,১১,১২) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী আয়শা তৌহিদ লুনা, তার পিতার পরিবার থেকে এ সিটি নির্বাচনে একাই অংশগ্রহন করেননি।তার বয়সে ২ বছরের বড় ভাই বশীর আহমেদ ঝুনু স্বতন্ত্র প্রার্থী (জাপার বিদ্রোহী) হয়ে হরিণ প্রতিক নিয়ে মেয়রের পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। আর বয়সে ৬ বছরের ছোট ভাই মারুফ আহমেদ ঠেলাগাড়ি প্রতিক নিয়ে করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারন আসনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।তবে এদের সবার থেকে ছোট বোন তাসমিমা আহম্মেদও সংরক্ষিত ৪ আসনে (ওয়ার্ড নং-১০,১১,১২) কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনে। কিন্তু পরে তিনি প্রত্যাহার করে নিলে আয়শা তৌহিদ লুনা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হন।বরিশাল নগরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদ আলতাফ স্কুল সড়কের বাসিন্দা আহমেদ আলী ও ফিরোজা বেগম দম্পতির সন্তান তারা। তিনভাইবোনে একই বাড়িতে থাকলেও রাজনৈতিক জীবনে আয়শা তৌহিদ লুনা ও মারুফ আহমেদ বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত। আর আয়শা তৌহিদ লুনা মহানগর বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনও করছেন। অপরদিকে বশীর আহমেদ ঝুনু জাতীয় পার্টির (জাপা এরশাদ) রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তিনি বরিশাল সদর উপজেলার সভাপতি ও জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। এই প্রার্থীদের মতে, জনকল্যানে নিজেদের নিয়োজিত রেখে নিজের পছন্দ মতো যে কোন দলের রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে সকলের। আবার নির্বাচনে অংশগ্রহন করার অধিকারও রয়েছে সবার।জয়-পরাজয়ের কথা মেনেই নির্বাচনে অংশগ্রহন করা তাদের।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply