মঙ্গলবার, ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১:১৫

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

বরিশালে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে নৌকা ॥ পুনরুত্থানে মরিয়া ধানের শীষ

dynamic-sidebar

মজিবর রহমান নাহিদ ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ০৪দিন। সারাদেশের সকল আসনের মতো বরিশাল সদর-৫ আসনেও পুরোদমে চলছে নির্বাচনী আমেজ। আগামী ৩০ শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে লড়াই করবেন মোট ০৫জন প্রার্থী। আওয়ামীলীগের মনোনায়নে নৌকা প্রতীকে কর্ণেল (অব:) জাহিদ ফারুক শামীম, বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের মনোনায়নে ধানের শীষ প্রতীকে এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনায়নে হাতপাখা প্রতীকে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম, জাতীয় পার্টির মনোনায়নে লাঙ্গল প্রতীকে একেএম মর্তুজা আবেদিন, বাম গনতান্ত্রিক জোটের মনোনায়নে কাস্তে প্রতীকে আব্দুস সত্তার ও ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি এনপিপির মনোনায়নে আম প্রতীকে ডাঃ শামীমা নাসরিন বিজয়ী হতে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। এদের মধ্যে সবচেয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম ও বিএনপি প্রার্থী এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার। দুজনেরই রয়েছে পুরনো ভোটযুদ্ধে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা। এ আসনে ১৯৭৩ সালে আওয়ামীলীগের মনোনায়নে নির্বার্চিত হয় আবদুল মান্নান হাওলাদার, ১৯৭৯ এর নির্বাচনে বিএনপির সুনিল কুমার গুপ্ত, ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির এম.মতিউর রহমান, ১৯৯১ সালে বিএনপির আব্দুর রহমান বিশ্বাস, ১৯৯১ সালের উপ-নির্বাচনে বিএনপির এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার, ১৯৯৬ সালে বিএনপির নাসিম বিশ্বাস, ১৯৯৮ সালে উপ-নির্বাচনে বিএনপির এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার, ২০০১ সালে বিএনপির এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার, ২০০৮ সালে বিএনপির এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার, ২০১৪ সালে আওয়ামীলীগের শওকত হোসেন হিরন ও সর্বশেষ ২০১৪ সালের উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগের জেবুন্নেছা আফরোজ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় নির্বাচনে বরিশাল সদর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাহিদ ফারুক। ওই নির্বাচনে মজিবর রহমান সরোয়ার ১ লাখ ৫ হাজার ৬৯৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন। আর জাহিদ ফারুক পান ৯৯ হাজার ৩৯৩ ভোট। বরিশাল সদর-৫ আসনে এটাই কোনো আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এযাবৎকালের সর্বোচ্চ ভোট। এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত শামিম-সরোয়ারের মধ্যে লড়াই হবে বলে মনে করছেন সাধারন ভোটাররা। বিএনপির প্রার্থী সরোয়ার বরিশাল সদর-৫ আসনের চার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র। তিনি বরিশালের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ও জাতীয় সংসদের হুইফও ছিলেন। সাধারন ভোটারদের মতে সরোয়ারের এসব অভিজ্ঞতা এবারের নির্বাচনে কাজে আসতে পারে। অপরদিকে সাধারন ভোটারও আরও বলেন, জাহিদ ফারুক শামীম ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলেন। এছাড়া আওয়ামীলীগ সরকার গত দশ বছরে দেশে যে উন্নয়নের জোয়ার এনেছেন তার ধারাবাহিকতায় বরিশালের সামাজিক ও অর্থনীতিতে হয়েছেন ব্যপক পরিবর্তন। পাল্টে গেছে বরিশালের চিত্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের এ উন্নয়ন জাহিদ ফারুক শামীমের এবারের ভোটযুদ্ধে অনেক কাজ আসবে। আওয়ামীলীগের প্রার্থী কর্ণেল (অব:) জাহিদ ফারুক শামীম গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকার বিকল্প নেই। একমাত্র নৌকায় ভোট দিলেই দেশের উন্নয়ন হয়। তাই এবারও মানুষ নৌকায় ভোট দিবে।’ বিএনপির প্রার্থী এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, ‘বরিশালে যত উন্নয়ন হয়েছে তার সিংহভাগই করেছেন বিএনপি। বরিশালের উন্নয়নের সাথে বিএনপির নামটি গভিরভাবে জাড়িয়ে আছেন, যেটি বরিশালের মানুষ খুব ভালো করেন যানেন। আমরা আশাবাদী এবারের নির্বাচনে সাধারন মানুষ ধানের শীষ বেছে নিবেন।’

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net