অনলাইন ডেস্ক:দলের পরাজয় প্রায় নিশ্চিত। হাসান আলির করা ইনিংসের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ইয়র্কাকে নাকাল হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ড্যারেন স্যামি। যেই বোলারের ইয়র্কারে ভূপাতিত হলেন তাকেই হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানান এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান। বোলিং প্রান্ত থেকে এগিয়ে এসে স্যামিকে মাটি থেকে টেনে তোলেন হাসান। পাকিস্তান ও বিশ্ব একাদশের মধ্যকার তিন ম্যাচ সিরিজের আগে সোমবার ফাফ ডু প্লেসিস তাই বলেছিলেন, এটি শুধু একটি ক্রিকেট ম্যাচ নয়; তারচেয়েও বেশি কিছু। মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচে যেন সেটিরই প্রতিফলন ঘটল। ব্যাট-বলের লড়াইয়ে জয় হয়েছে পাকিস্তানের; ক্রিকেটেরও। তামিম ইকবালের বিশ্ব একাদশকে ২০ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সরফরাজ আহমেদের দল।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানে আটকে যায় বিশ্ব একাদশের ইনিংস। বিশ্ব একাদশের হয়ে ব্যাট হাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তামিমরা।
বুধবার গাদ্দাফি স্টেডিয়ামেই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও বিশ্ব একাদশ। সিরিজের শেষ ম্যাচটি একই মাঠে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।
২০০ ছুঁই ছুঁই লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা বিশ্ব একাদশকে জিততে হলে ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলতে হতো; বড় পার্টনারশিপ গড়তে হতো। স্যামি মিনি ঝড় তুললেও অন্যরা খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তারকাবহুল দলটিকে।
বিশ্ব একাদশের হয়ে তামিম ১৮ বলে ১৮ এবং টিম পাইন ২৫ বলে ২৫ রান করেন; যেটি টি-টোয়েন্টির সঙ্গে বড্ড বেমানান। এছাড়া আমলা ১৭ বলে ২৬, স্যামি ১৬ বলে ২৯ এবং অধিনায়ক ডু প্লেসিস করেন ১৮ বলে ২৯ রান। থিসারা পেরেরা ১১ বলে ১৭ রান করে রানআউট হন।
পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন রুম্মান রইস, সোহেল খান ও শাদাব খান।
এর আগে পাকিস্তানের জয়ের ভিত গড়ে দেন লাহোরের ছেলে বাবর আজম। ৫২ বলে ১০টি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে ৮৬ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দেন তিনি। এছাড়া শোয়েব মালিক ২২ বলে ৩৮ এবং আহমেদ শেহজাদ করেন ৩৪ বলে ৩৯ রান। ইমাদ ওয়াসিম ৪ বলে ১৪ রান করেন।
বিশ্ব একাদশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন থিসারা পেরেরা। একটি করে উইকেট নেন মরনে মরকেল, বেন কাটিং ও ইমরান তাহির।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply