মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ডটি ঘটে গেছে গতকাল। দেশটির নেভাদা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসে স্টিফেন প্যাডক নামের এক বন্দুকধারী পাশের মান্দালে বে হোটেলের ৩২ তলা থেকে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়ে অন্তত ৫৯ ব্যক্তিকে হত্যা করেছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো ৫২৭ জন। রুট নাইনটি ওয়ান নামের তিনদিনের কান্ট্রি মিউজিক ফেস্টিভালে জমায়েত হয়েছিল প্রায় ২২ হাজার মানুষ।
মান্দালে বে হোটেলটি ছিল উন্মুক্ত কনসার্ট অনুষ্ঠানের পাশেই। আর সেখান থেকেই নির্বিচারে গুলি চালায় নেভাডার বাসিন্দা ৬৪ বছর বয়স্ক স্টিফেন প্যাডক। পুলিশের অভিযানের সময় সে আত্মহত্যা করে বলে জানা যায়। হোটেলটির ৩২ তলার সেই কক্ষে আরো ১৬টি আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজ পায় পুলিশ। সেই সাথে তার বাসায় ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরকের সন্ধান মিলেছে। আর তার গাড়িতে পাওয়া গিয়েছে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এর মতো রাসায়নিক। জানিয়েছেন শহরটির পুলিশ। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার তথ্য নেই। তার সাবেক একজন প্রতিবেশী জানান, তিনি একজন পেশাদার জুয়ারি।
মার্কিন কর্মকর্তারা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান, হামলাকারীর মানসিক সমস্যার ইতিহাস ছিল বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে। হামলাকারীর ভাই এরিক প্যাডক তার ভাইয়ের এমন ঘটনায় জড়িত থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন যে, তাদের কোনো ধারনাই নেই কেন সে এমনটি ঘটিয়েছে। এমন ঘটনা পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করবে বলে, উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প বলছেন, ‘এটা সাক্ষাত শয়তানের কাজ। এফবিআই এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটিজ এটি নিয়ে কাজ শুরু করেছে এবং স্থানীয় প্রশাসনও তাদের সাহায্য করছে।’
তদন্তকারীরা এই ঘটনার সঙ্গে কোনো আন্তর্জাতিক উগ্রবাদী সংগঠনের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার না করলেও, ইসলামিক স্টেট বা আইএস গোষ্ঠী এর দায় স্বীকার করেছে। আইএস বলছে যে, এই হত্যাকারী স্টিফেন প্যাডক ছিল ধর্মান্তরিত মুসলিম। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বুধবার লাস ভেগাস সফরে যাবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। বিবিসি।
Leave a Reply