পটুয়াখালি প্রতিনিধি :করোনার সংক্রমন প্রতিরোধে পাবনা জেলা থেকে আসা আত্মীয়দের ঘরবন্দী থাকতে বলায় বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে বেধড়ক কুপিয়ে জখম করা হয়েছে কলাপাড়ার টিয়াখালীর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রিয়াজ উদ্দিন আকনকে (৩৮)।
বুধবার রাত ১১ টার দিকে ইটবাড়িয়া গ্রামের শাহজাহান এর দুই ছেলে উজ্জল ও শামীম মিলে রিয়াজকে বেধড়ক ভাবে কুপিয়ে জখম করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
রিয়াজকে শঙ্কাজনক অবস্থায় কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে গণরোষের শিকার হয়ে উজ্জলও আহত হয়েছে।
মেম্বার রিয়াজ জানায়, ওই বাড়িতে রাতে পাবনা থেকে উজ্জলের এক স্বজন আসলে এলাকার লোকজন নিয়ে তাঁকে ঘরে থাকার জন্য নির্দেশ দেন। এতে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তাকে বেধড়ক কুপিয়ে জখম করা হয়।
অভিযুক্ত উজ্জল জানান, করোনায় লকডাউনের কারনে তার ঘরে ভায়রা ও শালী আটকা পড়ে। চৌকিদার গিয়ে জানালে তাঁদের কথা মেনে নেই। কিন্তু মেম্বার রিয়াজ গিয়ে প্রথমে ঘরে ঢুকে তাকে (উজ্জলকে) ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আর দায়ের কোপ তিনি দেননি বলে দাবি করেন। ছোট ভাই শামীম ছিল। তার সঙ্গেও ধস্তাধস্তি হয়েছে।
কলাপাড়া থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি খবর পেয়ে মেম্বারকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জেএইচ খান লেলীন জানান, সন্ত্রাসী হামলার শিকার ইউপি সদস্যের অবস্থা গুরুতর। তাঁর ডান পাঁজরের উপর দেয়া কোপটি গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। ভুড়ি বরাবর আঘাতটি লেগেছে। পিঠেও কয়েকটি কোপ লেগেছে। তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত উজ্জল নিজেকে থানার সোর্স পরিচয়ে এলাকার লোকজনকে হয়রাণি করছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply