খবর বরিশাল ডেস্ক ॥ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় প্রতিবেশীর মরিচ খেতে গিয়ে ছাগল গাছ খাওয়ার অভিযোগে মালিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার আরোজবেগী গ্রামের গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে সকাল ১০টার দিকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়নের আরোজবেগী ৭ নম্বর ওয়ার্ড গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মো. মোস্তফা ফকির।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে প্রতিবেশী মো. খোকন সরদারের ছাগল তাঁর মরিচ খেতে ঢুকে গাছ খায়। সে কারণে মোস্তফা ছাগল নিয়ে বেঁধে রাখেন। খোকন আজ শুক্রবার সকালে ছাগল চাইতে গেলে মোস্তাফা, তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রবধূ খোকনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করেন।
খোকনের স্ত্রী তাঁর স্বামীকে রক্ষা করতে গেলে তাঁকেসহ ৮ ও ১০ বছরের দুই শিশু সন্তানকেও মারধর করেন তাঁরা। পরে স্থানীয়রা খোকনকে উদ্ধার করে দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আহত খোকন সরদার বলেন, ‘মোস্তফা আর আমি গ্রচ্ছপ্রামের পাশাপাশি ঘরে বাস করি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাগলে নাকি মোস্তফার খেতের মরিচ চারা খায়। মোস্তফা ছাগল নিয়ে বেঁধে রাখে। আমি সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে গিয়ে বললে, তিনি আমাকে ছাগল চাইতে বলেন। আমি সকালে ছাগল চাইতে গেলে মোস্তফা, তাঁর স্ত্রী ও পুত্রবধূ আমাকে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ঘরের সামনে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে।
স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। আমি উপজেলা প্রশাসনের কাছে এমন কাজের জন্য বিচার দাবি করি।’ খোকনের স্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ছাগলের বাচ্চা নাকি মোস্তফার খেতের মরিচের চারা খাইছে।
আমার স্বামী সকালে ছাগল চাইতে গেলে আমাকে মারধর করে, আমার ছোট শিশু সন্তানকে মারে এবং আমার স্বামীকে মারধর করে টানাহেঁচড়া করে নিয়ে তার ঘরের সামনে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। আমি এর বিচার চাই।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য সিকদার দেলোয়ার বলেন, ‘বিষয়টি জানান পর আমি ছাগল আনতে পাঠিয়েছি। কিন্তু তারপর কি হয়েছে জানি না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম হাত–পা বেঁধে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় খোকন। এটা একটি দুঃখজনক ঘটনা।’ এ বিষয়ে জানতে মোস্তফার বাড়ি গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply