রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে বাংলাদেশ ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করছে বলে দাবি করছে মিয়ানমার। দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সুচির একজন মুখপাত্র মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেছেন।
শুধু তাই নয় মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর সু চির দপ্তরের মহা পরিচালক জ হতেই বলেছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য কোটি কোটি ডলারের বিদেশি সহায়তা হাতে পাওয়ার আগে বাংলাদেশ প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় কি না- সে বিষয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতন ও হত্যা-ধর্ষণ থেকে বাঁচতে গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের কারণে আরও চার লাখ রোহিঙ্গা গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়ে আছে ।আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
জ হতেই মঙ্গলবার তার দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা শুরু করতে চাই। কিন্তু অন্য পক্ষ এখনও সাড়া দিচ্ছে না। ফলে দেরি হয়ে যাচ্ছে।’
আবার বুধবার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের প্রথম পাতায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার অর্থ বাংলাদেশে আসার বিষয়টি টেনেছেন জ হতেই ।
সেখানে তিনি বলেছেন ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পেয়েছে। এই অর্থ পাওয়ায় প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আরও বিলম্বিত হবে বলে আমাদের আশঙ্কা।’
তিনি লিখেছেন, ‘তারা আন্তর্জাতিক সহায়তা পাচ্ছে। আমাদের মনে হচ্ছে, তারা হয়তো প্রত্যাবাসনের বিষয়ে নতুন কিছু ভাবতে পারে।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর জন্য অক্টোবরের শুরুতে ঢাকায় দুই দেশের বৈঠকে একটি ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠনের সিদ্ধান্ত হওয়ার পর মিয়ানমারে যান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখানে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে কফি আনান কমিশনের সুপারিশের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নসহ ১০ দফা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ সরকার গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ওই দশ দফা প্রস্তাবের বিষয়ে মিয়ানমার এখনও সম্মতি দেয়নি। শুক্রবার আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেছেন, দুই পক্ষ এখনো জয়েন্ট ওয়াকিং গ্রুপ গঠনে সমর্থ হয়নি। তবে আগামী ৩০ নভেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর ৩০ নভেম্বর মিয়ানমার সফরের আগেই এটি গঠন করা হবে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply