মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে রোহিঙ্গা নারীদের গণধর্ষণ করার যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে গড়িমসি করছে যুক্তরাজ্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো যখন গণধর্ষণের পক্ষে প্রমাণ হাজির করছে ঠিক সেই সময়েও এই বিষয়টি নিয়ে ঢিমেতালে চলছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর।
রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, হলিউডের অভিনেত্রি অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সঙ্গে যৌথপ্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ২০১২ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হাগ পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেন। এই কমিটির উদ্দেশ্য ছিল সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোতে ব্যাপক হারে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে তা তুলে ধরা। এছাড়া যৌন সহিংসতার প্রমাণ রক্ষা, তথ্য একত্রীকরণ এবং অপরাধী ও দলনেতাদের চিহ্নিতকরণ এই বিশেষজ্ঞ দলের কাজের অংশ। এই তদন্ত দলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, পুলিশ সদস্য, মানসিক চিকিৎসক ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। ২০১৩ সাল নাগাদ ৭০ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়েছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর।
হাগ ও তার প্রাক্তন বিশেষ উপদেষ্টা লেডি হেলিস পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছে লেখা এক চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহে তারা কী করেছেন।
পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের ঘটনায় বিশেষজ্ঞ দলের প্রয়োজন আছে কিনা সে বিষয়টি তারা এখনো পর্যালোচনা করছেন।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply