এস.এন পলাশ ॥ বরিশাল বিভাগীয় শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে রাতের বেলায় দোকানপাট বন্ধ থাকায় অনেকটা দুর্ভোগে পরতে হয় দূরদুরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের। ঢাকা থেকে বরিশালে ব্যবসায়ী কাজে আসা যাত্রী শাহ্আলম বলেন রাত ৩টায় নথুল্লাবাদ টার্মিনালে এসে বাস পৌছায়, এতরাতে কোথায় যাব? তাই ফজরের আজান পর্যন্ত টার্মিনালেই থাকতে হয়েছে। তবে কোনো দোকানপাট খোলা না থাকায় অনেকটা ক্ষোভের সহিত বলেন বরিশালনাকি আধুনিক নগরী? অথচ বাস টার্মিনালে একটা দোকানও খোলা নেই যে একটা পানি বা খাবারের কিছু কিনবো।
শুধু শাহ্আলম না এমন অভিযোগ সিংহভাগ যাত্রীর, যে অনেক দুর থেকে আসা লোকজন রাতের বেলায় বাস টার্মিনালে ভোর পর্যন্ত থাকতে হয় অথচ চা পানের দোকানও খোলা থাকেনা। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে শুনতে হলো দোকানদারদেরও অভিযোগ গুলো, সকলের অভিযোগ একইরকম যে, নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালসহ আসেপাশের দোকানগুলো এ্যডভান্স বেশি দিয়ে নিতে হয় একারনেই যে বাসস্ট্যান্ডর দোকানে তো সবসময়ই কেনাবেচা হয়, তাই ভাড়াও গুনতে হয় বেশি। তবে কিছুদিন যাবত প্রশাসনের নির্দেশে রাত ১২টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ রাখতে হচ্ছে দোকানিদের। এতেকরে ব্যবসায়ীক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ তারা। অপরদিকে দুর দুরান্ত থেকে আসা যাত্রীরাও পরছে দুর্ভোগে।
রাজশাহী থেকে আসা বাস ড্রাইভার আরজু বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাড়ি আসে বরিশালে। টার্মিনালের সব দোকানপাট বন্ধ থাকায় অনেকটা খুধায় কষ্ট করতে হয় বাসস্টাফদের। রাতে বাস টার্মিনালের দোকানপাট বন্ধ রাখার বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এইচ এম আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, অনেক সময় অপরাধীরা বাস টার্মিনালে অবস্থান নেয়, তাই চুরি ডাকাতি ছিনতাই বন্ধ রোধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এসময় তিনি আরো বলেন সাময়িক সময়ের জন্য আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে বাস মালিক সমিতির একাধিক ব্যক্তি বলেন, রাতে দোকানপাট বন্ধ থাকায় দুর দুরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের কিছুটা সমস্যা হয়। বাস টার্মিনালের দোকানিদের ও বাস মালিক শ্রমিকদের দাবী রাতে যদি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন টহল বাড়িয়ে দেয় তাহলে দোকানপাট খোলা থাকলেও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply