বরিশালের বাকেরগঞ্জে অভিযান চালিয়ে চারটি ইটভাটাকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বাকেরগঞ্জ উপজেলার শিয়ালঘূনী, ফরিদপুর ও কলসকাঠির দিয়াতলী এলাকায় উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি ভৌমিকের নেতৃত্বে এ অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদফতর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়।
অভিযানে মো. শাহজাহান হাওলাদারের মালিকানাধীন শিয়ালঘূনী এলাকার মেসার্স এস এস বি ব্রিকসকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মো. শহিদুল ইসলাম মৃধার মালিকানাধীন ফরিদপুর এলাকার মেসার্স আম্বিয়া ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা, শমসের হাওলাদারের মালিকানাধীন কলসকাঠীর দিয়াতলী এলাকার মেসার্স রাজা ব্রিকস ওয়ানকে ৫০ হাজার টাকা ও একই এলাকার হাসান ইমামের মালিকানাধীন মেসার্স রাজা ব্রিকসকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এ. এইচ. এম রাসেদ জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ব্যতীত ইট উৎপাদন ও জ্বালানি হিসেবে কয়লার পরিবর্তে কাঠ দিয়ে ইটপোড়ানো কার্যক্রম পরিচালনা করায় ইটভাটাগুলোকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করে তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয়।
পটুয়াখালীতে ১০ লাখ মিটার জাল জব্দ ও ১৫ জেলের জরিমানা
অনলাইন ডেস্ক :: ইলিশসহ মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ২১ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৫ দিনব্যাপী পটুয়াখালীর বিভিন্ন নদ-নদীর ১১৪টি স্থানে অভিযান চালিয়ে ১০ লাখ মিটার অবৈধ জাল জব্দ ও ১৫ জেলেকে ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে প্রশাসন।
জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং কোস্টগার্ডের সহায়তায় জেলা মৎস্য বিভাগের এ অভিযানে উদ্ধার হওয়া জালের বাজার মূল্য প্রায় আড়াই কোটি ৩৬ লাখ টাকা। জব্দকৃত অবৈধ কারেন্ট ও বেহুন্দী জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম ও কোস্টগার্ড পটুয়াখালীর কন্টিজেন্ট কমান্ডার খন্দকার মনিরুজ্জামান জানান, ইলিশ রক্ষায় জেলার ৮টি উপজেলা বিভিন্ন স্থানে পুলিশ কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ সমন্বয়ে ২১ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৫ দিন পায়রা, লেবুখালী, তেঁতুলিয়াসহ বিভিন্ন নদীতে ১১৪টি অভিযান চালিয়ে ১০ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট, বেহুন্দী ও বাধা জল জব্ধ করা হয়েছে।
অভিযানে জব্দ জাল পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং ১৫ জন জেলেকে ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে এক মেট্রিক টন জাটকা ২টি মাছ ধরা নৌকাও জব্ধ করা হয়।
সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করে দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব। এ অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি জেলে ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমও অব্যাহত রাখতে হবে বলে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মন্তব্য করেন।ো
ফাইল ছবি
উল্লেখ্য গত কিছুদিন যাবত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখির পরেও থেকে নেই অবৈধ এম.আর.বি ব্রিকস ইট ভাটার মালিক মশিউর রহমান জোমাদ্দার এর কর্মকান্ড। এবার বললেন প্রশাসন আমার পকেটে থাকে। সাংবাদিকেরা কি করতে পারে দেখে নেয়ার হুমকি দিলো। আমার ইট ভাটা চলবে, ক্ষমতা থাকলে কেউ বন্ধ করুক। বাকেরগঞ্জের রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামের অবৈধ ইট ভাটার মালিক মশিউর রহমান জোমাদ্দার নানা অপকর্মের নায়ক। সে কাউকেই পরোয়া করছেন না। একই গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন কৃষক জানান, এই অবৈধ ইট ভাটার মালিকের কারণে আজ আট থেকে দশ বছর যাবৎ আমরা কৃষি জমিতে আউশ ধান চাষ করতে পারছি না। অবৈধভাবে ইট ভাটা রক্ষা করতে আমাদের ধান চাষের বিলের খাল, নালা জোর করে বেধে আটকিয়ে রাখে। কৃষি জমিতে পানি উঠতে দেয়না বিধায় আমরা আউশ ধানের চাষ করতে পারি না।
পরিবার পরিজনদের নিয়ে অনেক কষ্ট করে জীবন-যাপন চালাতে হচ্ছে। বার আউলিয়ার দরবার শরীফের খাদেম কর্তৃপক্ষ অনেকেই জানান, অবৈধ ইট ভাটার ইট ও গাছ-লাকরী মিনি ট্রাক ও ট্রলি ডুকে আমাদের দরবারের সরু রাস্তাটি ভেঙ্গে চুরে ও ধুলাবালিতে দরবারের পরিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছে। মশিউর জোমাদ্দার বাকেরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বিধায়ন তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ ভাবে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দিখিয়ে কোন ছাড়পত্র ছাড়াই ইট ভাটা চালিয়ে যাচ্ছে। এব্যাপারে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে সাংসাদিকদের পুড়ে ফেলাসহ দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে।
প্রশাসন সন্ত্রাসী মশিউর জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় কৃষক, দরবারের খাদেম কর্তৃপক্ষ, দুটি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী আতংকে দিন কাটাচ্ছে। জরেজমিনে তদন্ত করলেই এই পাঁচটি সম্পদের ধ্বংসের চিত্রগুলো সত্যতার প্রমাণ মিলবে। তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই খুন, গুম ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখায়। এ বিষয়ে অবৈধ ইট ভাটা মালিক মশিউর রহমান জোমাদ্দারের কাছে প্রকাশ্যে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রশান আমার পকেটে থাকে তা আমি বলিনি বলে চলে যায়। এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জের নির্বাহী অফিসার কাজী সালেহ্ মোস্তানজির জানান, বাংলাদেশে সকল অবৈধ ইট ভাটা অচীরেই বন্ধ হতে যাচ্ছে। আমার বাকেরগঞ্জের অবৈধ ইট ভাটাগুলোর বন্ধের লিখিত তালিকা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন বাকেরগঞ্জের মানুষেরা মাটি দিয়ে দালান তৈরী করবে। ইটের আর দরকার নেই। এ কথাও বলেন তিনি। অবৈধ ইট ভাটার মালিক নামধারী সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় এনে নির্দিষ্ট বিচারের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply