আল আমিন গাজী ॥ বরিশাল বিমানবন্দর থানাধীন ১নং কড়াপুর ২নং ওয়ার্ডে এক ৯ম শ্রেণী স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় চলতি বছরের ১ই ফেব্রুয়ারী বিমানবন্দর থানায় ৫জনকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতার মা মনোয়ারা বেগম।
অভিযোগ রয়েছে বিমানবন্দর থানা পুলিশকে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে ধর্ষণ মামলার আসামীরা। আর পুলিশের এমন আচরনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
মামলা সূত্রে জানাযায়, বিমান বন্দর থানাধীন ১নং কড়াপুর ২নং ওর্য়াডের স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ারা বেগমের মেয়ে (ছদ্দনাম) রিমি(১৩) গত বছরের ২৮শে ডিসেম্বর সন্ধায় ৬ টার সময় টিভি দেখতে স্থানীয় লিজা খন্দকারের বাড়িতে যাওয়ার সময় পথে দেখা হয় মামলার ১নং সাক্ষি তরিকুলের সাথে । পরে রিমি ও তরিকুল রাস্তা দিয়ে কথা বলতে বলতে যাওয়ার সময় একই এলাকার বাসিন্দা খালেক খন্দকারের ছেলে রহমান খন্দকার(৩৫) ও রশিদ হাওলাদারের ছেলে বাকের হাওলাদার(৩৫) রিমি ও তরিকুলের পথ আটকে দাড়ায়। পরে তরিকুলকে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী বারেক মুখ চেপে ধরে তাকে বাগানে আটকে রাখে । তবে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবন ধর্ষনকারী রহমান খন্দকারের শকুনি নজর পরে (১৩) বছরের রিমির শরীরের উপর।
অপর দিকে সেই ধর্ষণের বর্ননা দিয়ে রিমি বলেন, ওই সময় তরিকুলকে বারেক আটকে রাখে ও রহমান খন্দকার তাকে মুখ চেপে ধরে পাশে একটি মাছের ঘেড়ে বাগানে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেন। পরর্বতীতে ওই স্থানে ধর্ষণকারী রহমানের সহযোগী স্থানীয় বাকের হাওলাদার, সেকান্দার আলীর ছেলে ফারুক শরিফ (৪০) খালেক হাওলাদারের ছেলে সোহেল বেগ(২৬) ও নুরা চৌধুরীর ছেলে ইলিয়াস(৩০) মুখ চেপে ধরে মাদক সেবনকারীরা রিমিকে গনধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে রিমির খোঁজে তার মা ও খালা বের হলে । টর্স লাইটের আলো দেখে ধর্ষনকারী রহমান ,তার সহযোগী বাকের,ফারুক,ইলিয়াস, ও সোহেল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ওসিসিতে ভর্তি করেন।
পরর্বতীতে বিমানবন্দর থানা পুলিশের এসআই হাসান বশির মামলার প্রধান আসামী ধর্ষনকারী রহমানকে আটক করে। কিন্তু মামলার বাকি আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেরাচ্ছে। তাদের আটক করছেন না বিমানবন্দর থানা পুলিশ। আর এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মামলার বাদিসহ স্থানীয়রা। মামলার বাদি মনোয়ারা বেগম জানান, রহমান আটক হলেও বাকি আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়াচ্ছ। পুলিশ তাদের আটক করছে না। আসামীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য একাধীকবার হুমকি দিয়েছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, মামলার বাকি আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেরচ্ছে। তা ছাড়া রহমানসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মাদক বহন ও সেবনের অভিযোগ রয়েছে। তা ছাড়া রহমানের স্ত্রী প্রবাসী হাওয়ায় কারনে ধর্ষণের ঘটনা ঘটাতে পারেন বলে তাদের ধারনা।
অপরদিকে ওই ইউনিয়নের মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রিনা বেগম জানান, ঘটনার পর (ছদ্দনাম) রিমিকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। এ বিষয় মামলা ও হয়েছে। ধর্ষিতাকে যত প্রকার আইনী সাপোর্ট দেয়া যায় আমরা সেটা দিবো। কারন আমরা আ’লীগ করি সাধারন মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য। একটি ১৩ বছর বযসী শিশুর উপর এমন নির্যাতন মানা যায় না। তবে তিনি এঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ বিষয় ১নং কড়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খোকন তিনি প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন স্থানীয়দের কাছে । তবে ধর্ষিতার পরিবারকে তিনি আইনী সহযোগীতাসহ সব ধরেনের সহযোগীতা করবেন বলে জানান। তা ছাড়া তিনি আরো জানান ধর্ষিতা যেন সঠিক বিচার পায় তার জন্য ধর্ষিতার পরিবারের পাশে তিনি আছেন বলে জানান।
এ বিষয় মামলার তদর্ন্তকারী কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার এসআই হাসান বশিরের সাথে ০১৭২৩৪২..২৩ যোগাযোগ তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply