অনলাইন ডেস্ক : অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। শুক্রবার (৩ মে) থেকে শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টির সময় বজ্রাঘাত, ঝড়ো হাওয়া ও সরাসরি ফণী প্রবেশ করা এলাকায় তারা নিহত হন।
বিভিন্ন জেলার তথ্যে বিস্তারিত:
ভোলায় নিহত একজন
জেলা সদরে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে শনিবার সকালে ঘর ভেঙে চাপা পড়ে রানী বেগমের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। সদর উপজেলা ইউএনও কামাল হোসেন জানান, নিহত রানী ওই এলাকার মো. সামসুল হকের স্ত্রী। এছাড়া লালমোহনে শনিবার সকালে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে একটি ট্রলার ডুবির ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন।
লক্ষ্মীপুরে নিহত একজন
জেলার রামগতি উপজেলার চর আলগী গ্রামে ফণীর আঘাতে বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম (৭০) নিহত হয়েছেন। রামগতি ইউএনও রফিকুল হক জানান, শনিবার সকালে প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে ঘরের কাঠ শরীরের ওপর পড়লে তার মৃত্যু হয়।
নোয়াখালীতে নিহত দুই শিশু
জেলার কোম্পানীগঞ্জে চরকাঁকড়া ইউনিয়নে মারা গেছে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ঝুমুর (১২)। জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস জানান, শনিবার সকাল নয়টার দিকে আম কুড়াতে গিয়ে শিশুটি মারা যায়। সে ওই এলাকার মো. হামিদের মেয়ে।
অপরদিকে সুবর্ণচরে ফণীর প্রভাবে ঘরবাড়ি বিধ্বস্তের সময় ঘরের মধ্যে চাপা পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সুবর্ণচর উপজেলার কন্ট্রোলরুমে দায়িত্বত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইকবাল হাসান বলেন, শুক্রবার রাতের এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। শিশুটি ওই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। আহতরা সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
বাগেরহাটে নিহত একজন
জেলার রণজিৎপুরে দমকা হাওয়ায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে গৃহবধূ শাহারুন বেগমের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। গৃহবধূর আত্মীয় যুবলীগ নেতা শেখ আলফাজ বলেন, শুক্রবার দুপুরে বাড়িতে কাজ করার সময় প্রবল হাওয়ায় তার মাথায় গাছের মোটা ডাল ভেঙে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
কিশোরগঞ্জে নিহত ছয় জন
জেলার মিঠামইন, পাকুন্দিয়া ও ইটনায় বজ্রাঘাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- মিঠামইনের মো. মহিউদ্দিন (২২), শিশু সুমন মিয়া (৭), রুবেল দাস (২৬), পাকুন্দিয়ার আসাদ মিয়া (৪৫), ইন্নস আলীর ছেলে মো. মজিবুর রহমান (১৭), হালিম উদ্দিনের মেয়ে নূরুন নাহার। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে ঝড়ো হাওয়া, ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাতে তারা মারা যান।
নেত্রকোণায় নিহত একজন
জেলার মদন উপজেলার বজ্রাঘাতে কুষক আবদুল বারেক (৩৫) নিহত হয়েছেন। মদন থানার ওসি রমিজুল হক জানান, শুক্রবার দুপুরে হাওরে ধান কাটতে গিয়ে মারা যান কৃষক বারেক। তিনি উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের মৃত রুমালীর ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিহত একজন
জেলার নবীনগর উপজেলায় বজ্রাঘাতে কৃষক মো. আপেল মিয়া (২০) মারা গেছেন। থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বগডহর গ্রামে বজ্রাঘাতে ওই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি গ্রামের মো. উরমুজ আলীর ছেলে।
পটুয়াখালীতে নিহত একজন
জেলার কুয়াকাটায় তীব্র বাতাসে গাছের ডাল ভেঙে হাবিবুর রহমান (২৫) মারা গেছেন। কলাপাড়া ইউএনও তানভীর রহমান জানান, হাবিবুর মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় পৌর শহরের মনসাতলী এলাকায় গাছের ডাল ভেঙে গায়ের ওপর পড়লে তিনি আহত হন। পরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
বরগুনায় নিহত দুজন
জেলায় পাথরঘাটা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার রামচন্দ্র দাস জানান, শুক্রবার রাতে উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ে গাছচাপা পড়ে ওই দুজনের মৃত্যু হয়।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply