বরগুনা প্রতিবেদক : দেশব্যাপী আলোচিত বরগুনায় স্ত্রী’র সামনে কলেজ ছাত্র রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনায় নয়ন বন্ডের সন্ত্রাসী গ্রুপের সেকেন্ড-ইন কমান্ড রিফাত ফরাজীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বন্দুকযুদ্ধে নয়ন বন্ড নিহত হওয়ার প্রায় ২৪ ঘন্টার মাথায় মঙ্গলবার (২ জুলাই) দিবাগত রাত ২টা ৩৫ মিনিটে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রিফাত ফরাজী (২৩) বরগুনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধানসিঁড়ি রোডের বাসিন্দা দুলাল ফরাজীর ছেলে এবং রিফাত শরীফ হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামী। ভিডিও ফুটেজ, পারিপার্শ্বিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্তে সে ওই হত্যাকান্ডের একজন অন্যতম আসামী হিসেবে প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয়েছে।
এ নিয়ে রিফাত হত্যাকান্ডের দায়েরকৃত মামলায় মোট ১০ জন আসামী গ্রেফতার হয়েছে। যার মধ্যে পাঁচজন এজাহারভুক্ত এবং বাকি পাঁচজন সন্দেহভাজন আসামী। এছাড়া মঙ্গলবার ভোরে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামী চিহ্নিত সন্ত্রাসী সাব্বির আহম্মেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড।
আজ বুধবার (০৩ জুলাই) সকালে বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে তদন্তের সাথে আসামীকে কোথা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে বিষয়টি গোপন রেখেছে পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনকালে জেলার এসপি মো. মারুফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ডিআইজি বলেন, ২ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে নির্মামভাবে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। সেই থেকে টানা ৭ দিনের অভিযানে হত্যাকান্ডে জড়িত ১০ জন আসামী গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারের প্রাক্কালে মঙ্গলবার সকালে মামলার প্রধান আসামী সাব্বির আহম্মেদ নয়ন বন্ড ও তার সহযোগি আসামীরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে আসামী নয়ন বন্ড মারা যায়।
ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করে বরগুনা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এ পর্যন্ত ৯ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলো- রিফাত হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামী রিফাত ফরাজী, ৪ নম্বর আসামী জয়চন্দ্র সরকার চন্দন (২১), ৯ নম্বর আসামী মো. হাসান (১৯), ১১ নম্বর আসামী মো. অলিউল্লাহ অলি (২২) ও ১২ নম্বর আসামী টিকটক হৃদয় (২১)।
এছাড়া ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষ সাক্ষীদের জবানবন্দি পর্যালোচনা করে রিফাত হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মো. নাজমুল হাসান (১৯), তানভীর (২২), মো. সাগর (১৯), কামরুল হাসান সাইমুন (২১) ও রাফিউল ইসলাম রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিআইজি আরো বলেন, পুলিশ এখনো হত্যা মামলার অন্যতম আসামী রিফাত ফরাজীর ভাই রিশান ফরাজী সহ পলাতক অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সকল ধরণের কৌশল অবলম্বন করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অচিরেই পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে আমরা দৃঢ় আশাবাদী।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply