এইচ আর হীরা ॥ বারবার জনপ্রতিনিধি বদলায় কিন্তু রাস্তা আর সংস্কার হয় না, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৫নং ওয়ার্ডের ভাষানী সড়কের থেকে ২৩ নং ওয়ার্ডের আহমেদ মোল্লা সড়ক পর্যন্ত প্রায় ৫ কি.মি সড়কটিতে ৫ বছর ধরেও তেমন কোনো উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। এবড়ো-খেবড়ো এ রাস্তায় চলাচলে নাকাল হচ্ছে বাসিন্দারা। সমান্য বৃষ্টি হলে হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায় এ সড়ক। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পয়োনিষ্কাশনের পানি পাড়িয়ে চলাফেরা করতে হয়। তবে সংস্কার করা হবে বলে বাস্তবায়ন ঝুলে আছে আশ্বাসে। এ যেন অনেক দিনের খুব পুরনো আশ্বাস যা শুধু থেমেই থাকে।
সম্প্রতি রাস্তাটি যখন করা হয়েছিলো সেই থেকে আজ পর্যন্ত আর কোনো জনপ্রতিনিধির দ্বারা তেমন কোন রাস্তার উন্নতি হয়নি। দূর্ভোগ রয়েই গেছে মানুষের যাতায়েতে। পয়োনিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে কোথাও হাঁটু পানি,আবার কোথাও উরু পর্যন্ত পানিতে ভরে থাকে।
এ ছাড়া সড়কটি বেহাল হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে মারাত্মক দূর্ঘটনা। দুই মিনিটের পথ পার হতে সময় লাগে পনেরো মিনিট। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ রাস্তা সংস্কার করা না হলে এ বছরের বর্ষায় যাতায়াতকারীদের ভোগান্তি আরও বাড়বে।
ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল উদ্দিন বলেন, ৫ বছরের বেশি সময় ধরে এ রাস্তার কোন ভালো অবস্থা আসেনি। এগুলো দেখার যেন কেউ নেই। এ অবস্থা থেকে আমরা যে কবে মুক্তি পাব জানি না। জনপ্রতিনিধি বদলায় কিন্তু এটুকু রাস্তার কাজ কখনও কেউ করে না। সরেজমিন দেখা যায়, ভাষানী সড়ক থেকে আহমেদ মোল্লা সড়ক পর্যন্ত রাস্তাটিতে খানাখন্দে ভরা। কিছু কিছু জায়গায় এমন অবস্থা যেনো মনে হয় বিশাল এক পুকুর, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো আহমেদ মোল্লা সড়কের একটি যায়গায় রাস্তার উপরে সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ।
ভাষানী সড়কের প্রায় পাচঁ হাজার জনগনের রুপাতলী বাস টার্মিনালে বা শহরের প্রধান সড়কে যাওয়া আসার একমাত্র এ সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না হওয়ায় দূর্ভোগে পরছে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণ। সাইফুল নামের এক বাসিন্দা যানায়,আমরা এমন একটি যায়গায় বসবাস করছি যে,পরিবারের কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পরে তাকে জরুরী ভাবে হাসপাতালে নেয়ার জন্য এম্বুল্যান্স অথবা অন্যান্য কোনো গাড়ী নিয়ে এ সড়কে যাতায়াত করা বড়ই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।তিনি আরো বলেন,আমাদের এই এলাকাটি আবাসিক এলাকায় পরিনত হওয়ার পরেও এবং সিটি কর্পোরেশনের আওতায় থাকা সত্যেও এই সড়কটির দিকে কোনো খেয়াল নেই সিটি কর্পোরেশন কতৃপক্ষের।
সাদিয়া নামের এই স্কুল ছাত্রী বলেন, খানাখন্দে ভরা এই সড়কটি বর্ষার মৌসুমে কাঁদার বাগাড়ে পরিনত হয়। ফলে আমাদের মতো স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষক, অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী, সাধারণ জনগনের পরতে হয় চরম দুর্ভোগে।
এছাড়াও এলাকাবাসীর অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সড়কটি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ও প্রয়োজনীয় সংস্কার ঠিক মত না করায় বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে দ্রুত সড়কটি মেরামত না করলে জনদুর্ভোগ দিনদিন বেড়েই চলবে।
এব্যাপারে ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার বলেন, বিয়টি মেয়র মহোদয়ের নলেজে দেয়া হয়েছে, আশা করছি দ্রুত কাজ শুরু হবে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply