আরিফিন রিয়াদ ॥ মিথ্যা প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের চার জন শিক্ষককে থানা হাজতে আটকে রেখে দুই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ারের বিরুদ্ধে। সরজমিনে বিশেষ অনুসন্ধানে জানা যায়।
গত ২০জুন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওসি গোলাম ছরোয়ারের নির্দেশে উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোঃ তাজেল ইসলাম তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কোন কারন ছাড়াই পৌরসভার ১নং ওয়াডের্র টরকী বন্দর হাইস্কুল রোডের আবেদীয়া কোচিং সেন্টারের শিক্ষক মোঃ আমির আলী, সুন্দরদী মহল্লা থেকে মোঃ দ্বীন-ইসলাম (জুয়েল), ধানডোবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ মুনসুর আলী হাওলাদারকে তার টরকী বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পিছনের বাসা থেকে, বাউরগাতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দিলীপ চন্দ্র গাইনকে টরকী বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাদের আটক করে থানা হাজতে রাখে।
ধানডোবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ মুনসুর আলী বলেন, এস.আই তাজেল আমাদেরকে জিজ্ঞাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ওসি গোলাম ছরোয়ার আমাদের কাছে তিন লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় আসামি করে আদালতে প্রেরণ করা হবে। পরের দিন ২১ জুন সকালে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক সমিতির গৌরনদী উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ নুরে আলমের মধ্যস্থায় ২ লক্ষ টাকার বিনিমিয়ে প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেন।টাকা লেনদেনের সত্যতা স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক সমিতির গৌরনদী উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ নুরে আলম।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আটককৃত একাধিক শিক্ষক জানান, গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ার এ বিষয়ে মুখ খুললে তাদের মাদকদ্রব্য দিয়ে সাজানো মিথ্যা মামলা জড়ানোসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন।এই অজানা কারন সম্পর্কে ওসি গোলাম ছরোয়ারের কাছে জানতে চাইলে কোন সদ উত্তর দিতে পারেননি।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply