শফিক মুন্সি ॥ মঙ্গলবার পিরোজপুর জেলার বেকুটিয়া ফেরিঘাটে উচ্চপদস্থ এক পুলিশ কর্মকর্তার জন্য প্রায় ঘন্টাখানেক ফেরি আটকে রাখা হয়। এ সময় ফেরিঘাটের দুপাশে প্রায় অর্ধশতাধিক গাড়ির সিরিয়াল পড়ে। সরজমিনে দেখা যায় বেলা চারটা থেকে প্রায় একঘন্টা ফেরিঘাটে ফেরি থাকলেও কোনো যানবাহন উঠতে দেওয়া হয় নি। সেখানে বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা দশটিরও অধিক দূরপাল্লার বাস এবং অন্যান্য যানবাহনের লাইন পড়ে। তীব্র গরমে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়লেও সেখানে দায়িত্বরত পুলিশেরা ফেরি ছাড়তে বাঁধা দেয়। অবশেষে বেলা পাঁচটার দিকে সেখানে ঝালোকাঠি ঘ ১১- ০০০৭ সিরিয়ালের একটি গাড়ি পৌঁছলে গাড়িটিকে আগে উঠতে দিয়ে তারপর ফেরি ছাড়া হয়।
এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে সেখানে দায়িত্বরত পিরোজপুর ট্রাফিক সেকশনের কনস্টেবল রাহাজুল বলেন, আমার কিছু করার নেই। আমি শুধু অর্ডার ফলো করছি। ভিআইপি এসে ফেরি না পেলে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে। ভিআইপির পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলতে অপারগতা প্রকাশ করে জানান, “সাংবাদিকদের কাছে বড় অফিসারের নাম বললে আমার চাকরি থাকবে না”।পরবর্তীতে রহস্যময় ভিআইপির গাড়িটি ফেরিতে ওঠার পর ক্ষুব্ধ মানুষেরা গাড়ির সামনে গিয়ে পরিচয় জানতে চাইলে গাড়ির ড্রাইভার নেমে সবাইকে ‘ কম্প্রোমাইজ ‘ করতে বলে জানান, ” এটা ঝালকাঠির পুলিশ সুপারের গাড়ি “।
ভিআইপি নামধারীর এমন অবিবেচক কর্মকান্ডে বিরক্ত রফিকুল ইসলাম বলেন , ” চাকরি সূত্রে বরিশালে আছি। বাড়িতে ছোটভাই হঠাৎ ফুটবল খেলতে গিয়ে পা ভেঙে ফেলেছে। জরুরি ভাবে খুলনা রওনা দিয়ে এখন এক ঘন্টা ফেরিঘাটেই কাটালাম। “
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply