শুক্রবার, ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ভোর ৫:০৭

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
পিরোজপুরে নির্মাণের ২২ দিনেই ভেঙে পড়লো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের ছাদ

পিরোজপুরে নির্মাণের ২২ দিনেই ভেঙে পড়লো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের ছাদ

dynamic-sidebar

পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অর্থায়নে নির্মিত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের ২২ দিন পর ভেঙে পড়েছে তিন তলার চিলে কোঠার ছাদ। বুধবার দুপুরে মঠবাড়িয়া উপজেলার খায়ের ঘটিচোড়া হামিদিয়া দাখিল মাদরাসা বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে শ্রমিকরা ছাদ লাগোয়া নির্মাণ সামগ্রী খুলতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

মাদরাসা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ- ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজে অনিয়ম ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর উপকূলীয় ও ঘূর্ণিঝড় প্রধান এলাকায় বহুমূখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর আওতায় এ আশ্রয়কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে। গত বছর পিটিএস মৈত্রী প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এটির পায়। পরে ভাণ্ডারিয়া উপজেলার শহীদুল বিশ্বাস ও সগীর পোদ্দার নামে দুই ঠিকাদার সাব কন্ট্রাক্ট নিয়ে হামিদিয়া দাখিল মাদরাসা বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের ৩ তলা ভবনের (৭৮০.০৮ বর্গমিটার) নির্মাণ কাজ শুরু করেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও গত ২২ দিন আগে চিলে কোঠার কক্ষে ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়। ওই ছাদ থেকে সেন্টারিংয়ের বাঁশ খুলতে গেলে সম্পূর্ণ ছাদটি বিকট শব্দে ধসে পড়ে।

মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুর রহমান জানান, নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই ঠিকাদার অনিয়ম করে আসছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তারা চাঁদাবাজি মামলা দেয়ার ভয়ভীতি দেখায়।

এ ব্যাপারে শহীদুল বিশ্বাস বলেন, রাজমিস্ত্রীরা তাদের না জানিয়ে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ করে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে কাজ ঠিকভাবে করা যায়নি। পুনরায় যথাযথ নিয়মে দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাদ ঢালাই করে দেয়া হবে।

মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মসিউর রহমান জানান, ঢালাই দেয়ার আগে তাকে জানানোর নিয়ম থাকলেও তাকে না জানিয়ে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়। ছাদ ধসের বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি জানান।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net