বুধবার, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:০৭

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
সদরঘাটে যাত্রীর ভিড়, লঞ্চ ছাড়ার নির্দিষ্ট সময় না থাকায় ভোগান্তি

সদরঘাটে যাত্রীর ভিড়, লঞ্চ ছাড়ার নির্দিষ্ট সময় না থাকায় ভোগান্তি

dynamic-sidebar

অনলাইন ডেস্ক : ঈদুল আজহা উপলক্ষে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ ভিড় করছেন লঞ্চ টার্মিনালে। কিন্তু যাত্রীর তুলনায় লঞ্চের সংখ্যা কম ও ছাড়ার নির্দিষ্ট সময় না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী। যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, ঈদ উপলক্ষে বিশেষ সার্ভিস না দেওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার (১০ আগস্ট) ভোর থেকেই যাত্রীরা সদরঘাট টার্মিনালে আসা শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী সংখ্যাও বাড়তে থাকে। দুপুর না গড়াতেই ঘরমুখী যাত্রীতে তিল ধারনের জায়গা ছিল না টার্মিনালে। শনিবার (১০ আগস্ট) সদরঘাট টার্মিনালে দেখা যায়, সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের বরিশাল, ভোলা, হাতিয়া, মনপুরা, চাঁদপুর, বরগুনা, পিরোজপুরসহ বিভিন্ন জেলার ঘরমুখো যাত্রীরা ভিড় করছেন লঞ্চঘাটে।

টার্মিনালে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। পন্টুনে তিল ধারনের ঠাঁই নেই। যাদের লঞ্চ বিকেলে বা সন্ধ্যায় তারাও র্টামিনালে আসেন দুপুর ১২টার পর থেকে। টার্মিনাল, পন্টুন, লঞ্চে যাত্রী আর যাত্রী। পন্টুনে ভিড় থাকায় অনেকেই নৌকায় করে লঞ্চে ওঠেন। তবে লঞ্চের নির্দিষ্ট সময় না থাকায় পন্টুনে যাত্রীদের শুয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

এছাড়া লঞ্চের যাত্রীদের হয়রানিরোধে নৌ-পুলিশের একাধিক দল নদীতে ও টার্মিনালে দায়িত্ব পালন করছে। টার্মিনাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব, কোস্টর্গাড, আনসার সদস্যসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। মাঝনদী থেকে যাত্রীদের লঞ্চে ওঠা বন্ধে নৌ-পুলিশ তৎপর রয়েছে।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের কিছু রুটে ঈদ উপলক্ষে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ালেও অনেক রুটে আগের শিডিউল অনুযায়ী লঞ্চ না ছাড়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেকেই ভোর থেকে পন্টুনে অপেক্ষা করছেন, দুপুর ১টা পর্যন্ত লঞ্চের দেখা পাননি। এ কারণে অনেকেই অনিশ্চয়তায় রয়েছেন ঈদের আগে বাড়ি যাওয়া নিয়ে। তবে যাদের কেবিনের অগ্রিম টিকিট করা নেই, তারা যাত্রা নিশ্চিত করতে লঞ্চ ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা আগে টার্মিনালে এসেছেন।

যাত্রীরা জানান, লঞ্চ ভাড়া স্বাভাবিক সময়ের মতো নেওয়া হচ্ছে। তবে লঞ্চ ছাড়ার ক্ষেত্রে শিডিউল বিপর্যয়ের ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে তাদের। ভোলার ফাতেমা বেগম বলেন বলেন, ‘পরিবারসহ টার্মিনালে এসেছি সকাল ৭টায়। লঞ্চের জন্য সকাল থেকে অপেক্ষা করছি। ছাড়ার কথা ছিল দুপুর ১২টায়, কিন্তু এখনও কোনো খবর নেই’।

হাতিয়াগামী তাসরিফ লঞ্চের যাত্রী মো. রাশেদ বলনে, ‘হাতিয়া যাওয়ার জন্য সদরঘাট এসে দেখেন সময়ের আগে লঞ্চ চলে গেছে। কারণ যাত্রী ভরে যাওয়ায় বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা লঞ্চ ছেড়ে দিতে বাধ্য করছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে আমাদের। তাই সকাল থেকে বসে আছি। ফিরতি লঞ্চ এলে সে লঞ্চে উঠতে পারলে বাড়ি যেতে পারবো’।

মনপুরা যাবেন মাসুদ রানা। সকাল থেকে পরিবার নিয়ে পন্টুনে বসে আছেন। তিনি জানান, ‘লঞ্চের ছাড়ার কোনো সময় নেই। টিকিট পাবো কিনা এই চিন্তা করেই আগে চলে এসেছি। দেরিতে এসে যদি লঞ্চের টিকিট না পাই কিংবা ভালো কোনো লঞ্চে টিকিট না পাই সেই চিন্তা করেই আগেই পরিবার নিয়ে এসেছি। যেটা আগে আসছে সেটা ছাড়ছে। মনপুরায় দুইটা লঞ্চ যায়। সকালে একটা বিকেলে একটা। ঈদের জন্য লঞ্চের কোনো বিশেষ ব্যবস্থা নেই। তাই সকালে যে লঞ্চ গেছে সেটা এলে যেতে পারবো। তা না হলে ঢাকাতেই ঈদ করতে হবে’।

রবগুনার যাত্রী নাহিদ বলেন, ‘সকাল ৬টা থেকে বসে আছি লঞ্চের আশায়। দুপুর হলো এখন পর্যন্ত লঞ্চের দেখা মেলেনি। বরগুনা, ভোলা, চরফ্যাশন, হাতিয়া, মনপুরার মতো দূরের স্থানগুলোতে বিশেষ সার্ভিস চালু না করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে’।

এদিকে ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড়ে সদরঘাট টার্মিনাল থেকে শুরু করে আশেপাশের এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে লক্ষ্মীবাজার, সূত্রাপুর, বাংলাবাজার, ইসলামপুর রোড, রায়সাহেব বাজার, নয়াবাজার, বংশাল পর্যন্ত যানজটের কারণে যাত্রীদের পায়ে হেঁটে টার্মিনালে আসতে দেখা গেছে।

ঘাট কর্মকর্তা বিআইডব্লিটিএ’র ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. হেদায়েত উল্লাহ বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় ৫০টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। ৫৯টি লঞ্চ বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছে। ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে ২২টি। অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড়ে এখন লঞ্চের শিডিউল মানা যাচ্ছে না। আমরা যখন যেখানে প্রয়োজন বিশেষ সার্ভিসের ব্যবস্থা করছি চাহিদা অনুযায়ী’। এতে যাত্রীদের একটু অসুবিধা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘দিনের তুলনায় রাতে বেশি যাত্রী নিয়ে সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়া হচ্ছে। এছাড়াও লঞ্চ বেশি থাকার জন্য যাত্রীদের ওঠানামা করতে বেশ অসুবিধা হচ্ছে’।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) দিন ও রাতে ১৫০টি লঞ্চ ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্তে ছেড়ে গেছে। শনিবারও (১০ আগস্ট) এমন সংখ্যক লঞ্চ যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net