সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:০৬

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
বরিশালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের মানবেতর জীবন যাপন

বরিশালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের মানবেতর জীবন যাপন

dynamic-sidebar

বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের কিসমত ঠাকুরমল্লিক এলাকায় হতদরিদ্রদের জন্য নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্প। র্দীঘ দিন ধরে আশ্রিতরা জরাজীর্ন এসব ভবনে মানবেতর জীবনযাপন করলেও মেরামতের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ।

অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে চলে গেছেন অন্যত্র। বাধ্য হয়ে যারা বসবাস করছেন তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। নদীভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে নিরুপায় মোঃ মোতালেব হাওলাদার, শাহেনুর বেগমসহ ১০০টি পরিবার ৬ মাস আগে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে চলে গেছেন। নিরাপদে বেঁচে থাকার স্বপ্ন নিয়ে শাহেনুর বেগমসহ অনেকে এখানে বসবাস শুরু করেছিলেন। সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া ঘরটি এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোনো ঘরের চালা আছে তো বেড়া নেই, আবার বেড়া আছে তো দরজা নেই। চালার টিনগুলো ভাঙা, বৃষ্টি এলেই পানি পড়ে। এখানকার বেশিরভাগ নলকুপ থেকে পানি ওঠে না। টয়ালেট সমস্যাও প্রকট।

এখানকার বাসিন্দারা নানা সমস্যার কথা জানিয়ে বলেন, বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে তারা ব্যবহার অযোগ্য এসব ঘরে মানবেতর অবস্থায় বসবাস করছেন। বর্তমানে ৮০টি আশ্রয়হীন পরিবার এ আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাস করছেন।

সরেজমিন আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীদের কাছ থেকে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে সেনাবাহিনীর তত্বাবয়ধানে সন্ধ্যা নদী ঘেষে কিসমত ঠাকুরমল্লিক নামক স্থানে হতদরিদ্রের বসবাসের জন্য ৮০টি ঘর নির্মান করা হয়। পরবর্তীতে ওই স্থানে ২০০১সালে আরো একশতটি ঘর নির্মান করা হয়েছিল অসহায় হতদরিদ্রের জন্য। এ নিয়ে আশ্রিত পরিবারের সংখ্যা ছিল ১৮০টি। ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে চলে গেছেন অন্যত্র এমন পরিবারের সংখ্যা একশতটি। আশ্রয়ণের জন্য নির্মিত চারটি নলকুপের মধ্যে সচল আছে মাত্র ২টি। প্রতি পাঁচ পরিবারের জন্য বাথরুম আছে একটি,তাও আবার ব্যবহারে অযোগ্য। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা সুবিধা থেকে বঞ্চিত আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দারা। নির্মানের পর থেকে এ আশ্রয় কেন্দ্রে কোনো ধরনের সংস্কার হয়নি। যে সব চালা আছে তার টিনগুলো ভাঙা বৃষ্টি এলেই পানি পড়ে।

আশ্রয়ন কেন্দ্রে বসবাস কারী বাবুল হোসেন,মুজাফার পাহলান,মোঃ লিটন আক্ষেপ করে জানান, নদী ভাঙনে সব কিছু হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয়ন কেন্দ্রে বসবাস করছি। বর্তমানে আশ্রয়ন কেন্দ্রে ঘরগুলোতে থাকার কোনো পরিবেশ নেই। ভুক্তভোগীরা জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রশাসন কখনও তাদের খোঁজখবর নিচ্ছে না। আশ্রয়ন কেন্দ্রে বতর্মানে বসবাসকারী ৮০টি পরিবারদের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর, টয়লেট, টিউবওয়েল মেরামত করা না হলে তারাও আশ্রয়ন কেন্দ্র ছেড়ে চলে যাবে।

এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একাধিকবার মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি বিধায় শতাধিক হতদরিদ্র পরিবার আবাসস্থল ছেড়ে চলে গেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিত হাওলাদার জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো সরকারি বরাদ্ধের দিকে না তাকিয়ে স্থানীয়ভাবে অচিরেই মেরামতের মাধ্যমে আবাসন নিশ্চিত করা হবে।

ভুক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করে জরুরি ভিত্তিতে বসবাস অযোগ্য আশ্রয়ণ প্রকল্প মেরামতের ব্যবস্থা করার দাবি জানান ।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net