আকতারুল ইসলাম আকাশ,ভোলা॥ ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নে চাঁদ রাতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন স্থানীয় দুই বখাটের হাতে।
রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশালে প্রেরণ করা হয়।
এই ঘটনায় ভোলা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ধর্ষণের শিকার হওয়া ঐ স্কুল ছাত্রীর রক্তে রক্তাক্ত হয় হাসপাতালের নার্সসহ তাকে উদ্ধার করা স্বজনদের। এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনায় ধর্ষকদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানান পুরো ভোলাবাসী।
সবশেষে (গত ১৪আগস্ট ২০১৯তারিখ) ভোর রাতে রাজাপুর ইউনিয়নের ০৪নং ওয়ার্ডের মেঘনা নদীর তীরবর্তী বেড়ীর মাথা নামক স্থানে একদল জলদস্যুদের সাথে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলিতে দুই দস্যু পুলিশের গুলিতে আহত হলে মুমূর্ষু অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। পরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয় নিয়ে জানতে পারেন নিহত হওয়া দুই দস্যু চাঁদ রাতে স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা সেই দুই গণধর্ষণকারী মোঃ মঞ্জু (২৫) ও আলামিন (৩০)
এদিকে দুই দস্যু নিহতের ঘটনায় বুধবার (২রা” অক্টোবর) সকালে তদন্তের জন্য ঘটনা স্থলে গিয়েছেন ভোলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ কাওসার আহমেদ।
তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ কাওসার আহমেদ জানান, পুলিশ যে গুলিবর্ষণ করেছে তা কি সরকারি জান মাল রক্ষার জন্য করেছে কিনা তা জানতে গিয়েছি। এবং সাক্ষীদের বক্তব্য নিয়ে এসেছি। তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করে শীঘ্রই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভোলা সদর থানার তদন্ত ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম, রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মিজানুর রহমান খাঁ, ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রতন কুমার শীল, এস আই সোহেল,এ এসআই সুজন মাঝি প্রমুখ।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply