এইচ এম হেলাল : বরিশালে ব্যাটারি চালিত (হলুদ অটো ) অটোরিকাশার নবায়ন বন্ধ করা হলেও থেমে নেই অবৈধ টোকেন ব্যানিজ্য। এতে চরম বিপাকে পরেছে অটোরিকাশার মালিক ও শ্রমিকরা। মেয়াদহীন অবৈধ টোকেন থেকে মাসিক ভাড়া ৪ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন একাধীক টোকেন মালিক।
অভিযোগ রয়েছে, মেয়াদহীন অবৈধ টোকেন ভাড়া দেয়ার আগে টোকেন মালিকদের জামানত বাবত দিতে হয়েছে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
এদিকে বিসিসি মেয়র অটো শ্রমিকদের দিকে তাকিয়ে ব্যাটারি চালিত ( হলুদ অটো ) অটোরিকাশার নবায়ান বন্ধ করে বিভিন্ন সড়ক নির্ধারন করে দেন। অন্যদিকে অবৈধ টোকেন দিয়ে ভাড়া নিচ্ছেন কয়েকজন কাউন্সিলরসহ বেশ কিছু অশাধু ব্যক্তিরা। এদের মধ্যে হলো ব্রাঞ্চ রোডের মোর্সেদ, নিলয়, রুপাতলির পান নুরুআলম, কাউনিয়ার নিজাম, নথুল্লাবাদের হেলালসহ আরো অনেকে।
শ্রমিকদের সুবিধার জন্য বিসিসি মেয়র টোকেন নবায়ন বাতিল করার ঘোষনা দিলেও তা মানতে নারাজ ওই সব টোকেন ব্যবসায়ীরা।
সুত্র বলছে, মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে বিপদে ফেলার জন্য টোকেন মালিকগন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন সংগঠন গুলোকে ভিন্নখাত দেখাচ্ছেন এবং বলে বেড়াচ্ছেন যে অটো বন্ধ করে দিছে যা অদৌ সত্যি নয়। টোকেন বৈধ্য করতে তারা রাস্তায় নামবেন বলেও একটি সুত্র নিশ্চিত করেছেন।
জাহাঙ্গীর নামে এক অটো চালক জানান, জামানত বাবত ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি, এখন টোকেন ফেরত দিতে চাইলেও জামানতের টাকা নিয়ে টালবাহানা শুরু করছে এক টোকেন মালিক।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা ও মহানগর অটো শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মোঃ আফজাল মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ লেদু সিকদার বলেন, আমাদের মেয়র মহোদয় সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নির্দেশে সকল টোকেন বাতিল ঘোষণা করছে। শ্রমিকদের সুবিধার জন্য তাই আমরা শ্রমিক সংগঠন মেয়র মহোদয় ও ট্রাফিক বিভাগের সাথে আলোচনা করেছি তারা আমাদের যেভাবে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন আমরা সেভাবেই চলবো যাহাতে শ্রমিক বাঁচতে পারে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply