শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১১:০০

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
পটুয়াখালীতে ছেলেকে সম্পত্বি লিখে দিয়ে বাবা মায়ের স্থান হলো গোয়ালঘরে

পটুয়াখালীতে ছেলেকে সম্পত্বি লিখে দিয়ে বাবা মায়ের স্থান হলো গোয়ালঘরে

dynamic-sidebar

সুনান বিন মাহাবুব, পটুয়াখালী ॥ পাঁচ সন্তানের বাবা শুক্কুর দেওয়ান। বয়স ৭০ এর কাছাকাছি। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় বসবাসরত শুক্কুর দেওয়ান এবং তার স্ত্রীর জমিজমা থাকলেও এখন তারা নিস্ব। তার সন্তানেরা লিখে নিয়ে গেছে সকল সম্পত্বি। সম্পত্বি লিখে নিয়ে তাদের স্থান দিয়েছেন গোয়াল ঘরে। শুক্কুরের উপর এমন অমানবিক ঘটনাটি আলোচনায় এসেছে উক্ত উপজেলার বিভিন্ন মহলে। তবে গত একমাস ধ‌রে এভা‌বে অতিবাহিত কর‌লেও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা।

শুকুর দেওয়ান পেশায় একজন কৃষক। নিজের বাড়ি, জায়গা সম্পত্বিতে সুখে শান্তিতে কাটছিল পাচ সন্তান নিয়ে তাদের জীবন। তাদের- মর্জিনা, রোকেয়া, খোদেজা ও সালমা নামের চার মেয়ে। মেয়েরা বিয়ের পর তাদের স্বশুর বাড়ী চলে যায়। সংসারে ছিল একমাত্র ছেলে হোসেন দেওয়ান ও পুত্রবধু। এক সময় শুকুর দেওয়ান বার্ধক্য জনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পরে। চিকিৎসার কথা বলে ছেলে হোসেন বাবাকে গলাচিপা উপ‌জেলা স্বাস্থ্য কম‌প্লেক্সে নি‌য়ে যায়। সেখানে নি‌য়ে চিকিৎসার কথা বলে বাবার সম্পত্তি নিজের নামে দলিল করে নেন ছে‌লে। পরে সেই সম্পত্তি চাচা তাজু দেওয়ানের কাছে বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। কিছু দিন পরে ক্রয়-সূত্রে জমির মালিক হয়ে তাজু দেওয়ান বাড়ি থেকে বেড় করে দেন তার ভাই শুক্কুর দেওয়ান ও তার স্ত্রীকে। ভাইকে জমি দেয়ার মিথ্যা অজুহা‌তে মেয়েরাও বাবাকে ত্যাগ করেন। কোন উপয়ন্ত না পেয়ে পাশের বাড়ির একটি গোয়াল ঘরে আশ্রয় নেন এই দম্পত্তি। পাশের বড়ির লোকজন কিছু খাবার দিয়ে যায়, তা খেয়ে জীবন বাঁচছে।

শুক্কুর দেওয়ান জানান, ‘আমাগো জমিজমা পোলায় আমারে ভুল বুঝাইয়া আমার ভাই তাজুর কাছে বেইচা দিছে। ‌মোর ভাই তাজুও মো‌রে বাড়ির তোনে নামাইয়া দিছে। মুই কোন দিশাবিশা না পাইয়া গরুর ঘরে উঠছি”

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মাশফাকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমরা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম আব্দুল মান্নান জানান, আমি লোক পাঠিয়েছি দেখার জন্য। আমাকে জানালে আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরকারি সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করবো।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net