বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:২৮

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

জোয়ারের পানিতে বরিশাল নগরীর সাধারন জনগনের দুর্ভোগ

dynamic-sidebar

স্টাফ রিপোর্টার : ঘূর্ণিঝড়ে বরিশাল জেলায় তিন হাজারেরও বেশি পরিবার কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মারা গেছেন একজন। আহত হয়েছেন শতাধিক। এ ছাড়া রবিশস্য, মাছের ঘের, বেড়িবাঁধ, কাঁচা-পাকা রাস্থা ও ৬০টি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বাড়তি পানিতে সিটি বর্ধিত এলাকার অধিকাংশ মানুষ গৃহবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েন। সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর তত্ত্বাবধানে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতারা খাবার ও পানি বিতরণ করেছেন বিপদগ্রস্ত মানুষের মধ্যে।

জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, উজিরপুর উপজেলায় গাছচাপায় এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া জেলার ১০টি উপজেলায় ঝড়ের কবলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫০টি ঘরবাড়ি। পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ৫০টি বাড়ি ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় তিন হাজার বাড়ি ও ১০টি বিদ্যালয় ভবন।

এদিকে ছয় হাজার হেক্টর রবিশস্য, দুই হাজার হেক্টর খেসারি ডাল ও চার হাজার হেক্টর সবজিখেত ৫৫ হেক্টর চারণভূমি, ৪৩৫টি মাছের ঘের ও পুকুর, ২০ মিটার বেড়িবাঁধ ও ১২০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তারও বেহালদশা হয়েছে বলে গতকাল সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানের স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে, সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানার সময় কীর্তনখোলা নদীর উজানের পানি এবং টানা ভারী বর্ষণে বরিশাল সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকার মানুষ গৃহবন্দি।

বিশেষ করে ০৩,২২, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ভোগান্তিতে পড়েছে বেশিমাত্রায়। এসব এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় খালের দিকে যেতে পারছে না পানি। তাই ছোট-বড় অনেক রাস্থা এখনো আটকে থাকা পানির নিচে। ফলে সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়া সড়ক এলাকার বাসিন্দা মোঃ মনির হোসেন জানান, অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি নির্মাণের কারণে এবং এই ওয়ার্ডে কোনো ড্রেনেজ ব্যাবস্থা না থাকায় উজানে ঢুকে পড়া পানি বের হতে পারছে না। ফলে আমরা প্রতিবছর এভাবে পানিবন্দি হয়ে পড়ি। ২৮ নম্বর ওয়ার্ড বাসিন্দা আব্বাস উদ্দিন জানান, ড্রেন না থাকায় বৃষ্টি এবং উজানে প্রবেশ করা পানি খাল থেকে নামতে পারছে না। যার কারণে সিমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বরিশাল সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, মেয়রের ঘোষণা অনুযায়ী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাদের মাধ্যমে ভোগান্তিতে পড়া মানুষকে সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net