মজিবর রহমান নাহিদ ॥ বরিশাল মহানগরীতে সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়েছে শব্দ দূষণ। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে বরিশালের মানুষ। অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন চলাচল, হাইড্রোলিক হর্ন, মাইক শব্দ দূষণের অন্যতম কারণ। শব্দ দূষণের শাস্তি হিসেবে অর্থদন্ড ও কারাদন্ডের বিধান থাকলেও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকাসহ সবখানে চলছে শব্দ দূষণ। বিশেষ করে রাতে লঞ্চের উচ্চস্বরের হর্ণের কারনে অতিষ্ট নগরবাসী।
মকবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, “নগরীতে শব্দ দূষণ বেড়েই চলছে, এতে আমরা অনেক সমস্যায় পরছি। আমরা এই শব্দ দূষণ থেকে মুক্তি চাই।
আরিফ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা রাস্তা দিয়ে যখন হেটে যাই তখন অথযা উচ্চ শব্দের হর্ণে আমাদের খুব সমস্যা হয়। অনেক সময় ছোট্ট বাচ্চারা খুবই ভয় পেয়ে থাকে।”
সদর হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডাঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, অতিমাত্রায় হাইড্রোলিকর্ন ব্যবহার আর বিকট শব্দের কারণে মাথাব্যথা ও শ্রবনশক্তি লোপসহ বাড়ছে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি। আর এতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা।
গত ৩ মাসে বরিশাল নগরীর ৪টি স্থানে পরীক্ষা করে অসহনীয় মাত্রায় শব্দ দূষণ পেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। শব্দ দূষণ কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে আনতে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ভূমিকা নেই বলে অভিযোগ করছেন নগরবাসীর আর পরিবেশ অধিদপ্তরে পরিচালক মোঃ আব্দুল হালিম বলেন, ‘শব্দ দূষণ একটি আইন আছে বাংলাদেশে, এই আইনটা মোবাইলকোর্টে তফসিলভূক্ত না হওয়ার কারনে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারিনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাইকে সভা, সেমিনার ইত্যাদির মাধ্যমে তাদেরকে আমরা বোঝাতে পারি যে শব্দ দূষণ আমাদের শিশুদের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর।’
শব্দ দূষণের যে আইন আছে সেটি যাতে মোবাইল কোর্টে তফসিলভূক্ত করা হয় এটা সময় সুযোগ বুঝে রাষ্ট্রকে জানাবেন বলেও জানায় পরিবেশ অধিদপ্তরে এই কর্মকর্তা।
বরিশাল নগরীতে প্রতিনিয়ত জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে জানবাহসনের চাপ, এর ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকলে ভয়াবহ শব্দদূষণে পরবে নগরবাসী। তাই দ্রুত কোন পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানিয়েছেন সুশীল সমাজ।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply