বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:৩০

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
পটুয়াখালীতে তৈরী হচ্ছে ১৩ টি দৃষ্টি নন্দন ব্রিজ

পটুয়াখালীতে তৈরী হচ্ছে ১৩ টি দৃষ্টি নন্দন ব্রিজ

dynamic-sidebar

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ সরকারের উন্নয়নের মহাসড়কে এখন পটুয়াখালী জেলা। কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র, পায়রা বন্ধর, পায়রা ব্রিজ, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শেখ হাসিনা সেনানীবাস, সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশনসহ একাধিক মহাপ্রকল্পের কাজ চলছে এ জেলায়। এরই ধারাবাহিকতায় পুরাতন ১৯ জেলার একটি পটুয়াখালী জেলা হলেও তাতে তেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সরকারের এসব উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারনে জেলা শহরটি এখন অনেকটাই ব্যস্ততম একটি শহরে পরিনত হয়েছে।

এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে অদূরেই থাইল্যান্ড কিংবা সিঙ্গাপুরে আদলে একটি উন্নত শহরে পরিনত হবে পটুয়াখালী। এমন ভাবনা সামনে রেখে পটুয়াখালী জেলা শহরের সাথে এর আশ পাশের ইউনিয়ন গুলোকে আরও কাছাকাছি সংযুক্ত করতে, শহরের জলাবদ্ধতা করতে খালগুলিকে প্রবাহমান করতে বেশ কিছু আধুনিক এবং দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইড)।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আইবিআরপি প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাই জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শতবর্ষ পরিকলল্পনাকে বাস্তরে রুপ দিতে গ্রামেও শহরের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা এবং খাল ও জলাধার গুলোকে তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেই আমরা এই ব্রিজ গুলো নির্মাণ করছি। আশা করা যায় ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এসব ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারবো।

পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস ছত্তার জানান, পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নকে জেলা সদরের সাথে সরাসরি সংযুক্ত করার পাশপাশি জেলার ঐতিহ্যবাহী বহালগাছিয়া খালকে আবারও তার স্বাভাবিক অস্থায় ফিরিয়ে আনতে সদর উপজেলার পেছনের বাঁধটি অপসারন করে সেখানে ৮১ মিটার দীর্ঘ একটি দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। একই ভাবে বহালগাছিয়া খালের উপরনির্মিত গরুর বাঁধ অপসারন করে সেখানেও ৮১ মিটার দীর্ঘ একটি ব্রিজ

নির্মাণ করা হচ্ছে। যা অনেকটা হাতিরঝিলের ব্রীজ গুলোর মত সকলকে আকর্ষণ করবে। এছাড়া মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের সাথে পটুয়াখালী পৌর শহরকে সংযুক্ত করতে কুরিরখাল এলাকায় একটি ৪৫ মিটারের ব্রিজ নির্মিত হবে। এর ফলে জেলা শহরের সাথে ছোটবিঘাই, বড়বিঘাই, মরিচবুনিয়া এবং মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের নতুন একটি সংযোগ স্থাপতি হবে।

একই ভাবে পটুয়াখালী পৌরসভার সাথে কালিকাপুর ইউনিয়নের নতুন সংযোগ স্থাপন এবং ফুলতলা খালটি প্রবাহমান করতে বাঁধ অপসারন করে সেখানে ৪৫ মিটারের একটি ব্রিজ নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এমন গুরুত্ব বিবেচনা করে মোট ১২ টি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ইতি মধ্যে টেন্ডার আহবান করে যাবতীয় কার্য সম্পাদন করা হচ্ছে।

এ সকল ব্রিজ নির্মিত হলে এই অঞ্চলের মানুষের সড়ক যোগাযোগ যেমন সহজ হবে পাশপাশি খাল গুলো আবারও তার স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরে পাবে। জলাবদ্ধতা দুর হবে পটুয়াখালী জেলা শহরের। খালের দখল হওয়া জমি পুনরুদ্বার করে কৃষি কাজে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে বলেও জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net