সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:০২

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

জোয়ারের পানিতে প্লাবিত বরিশাল

dynamic-sidebar

নিজস্ব প্রতিবেদকঃশেষ আষাঢ়ের ভারী বৃষ্টি এবং নদীর জোয়ারের পানির চাপে নিমজ্জিত বরিশাল নগরী। গত দুদিন ধরেই এই অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। বৃষ্টির পানির সঙ্গে জোয়ারের পানি একাকার হয়ে জনদুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে। একই অবস্থা বিরাজ করছে জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। প্লাবিত হয়েছে গোটা দক্ষিণাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলও।

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেড়িবাঁধ, ভাঙনের মুখে পড়েছে বাজার ও বসত বাড়ি। এতে নদী তীরবর্তী এলাকার কয়েক গ্রামের মানুষ চরম আতংকের মধ্যে রয়েছেন। আগামী ৩ থেকে ৪ দিন এমন অবস্থা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

গতকাল রোববার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি এবং দুপুর নাগাদ নদীতে জোয়ার আসার সাথে সাথে ডুবে যায় বরিশাল নগরীর অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল সাগরদীর দরগাহবাড়ি, ধানগবেষণা রোড, দ: আলেকান্দার ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোড, রিফিউজি কলোনি, কালুশাহ সড়ক, পুলিশ লাইন সংলগ্ন সড়ক, মুনসুর কোয়ার্টার, নবগ্রাম রোড, কেডিসি বস্তি এলাকা, পোর্টরোড ও পলাশপুরের নিম্নাঞ্চল, ভাটারখালসহ বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাট বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়।

শহরের বর্ধিতাংশ হিসেবে পরিচিত নগরীর কাশীপুর, টিয়াখালী, লাকুটিয়া, রুপাতলীরও বেশ কিছু অংশ নিমজ্জিত হয় জোয়ারের পানিতে। আকস্মিক এমন ঘটনায় ভোগান্তিতে পড়েন এসব এলাকার বাসিন্দা এবং পথচারীরা। তবে বিকেল নাগাদ ভাটা শুরুর সাথে সাথে নেমে যায় পানির স্তর।

বৈরি আবহাওয়ার কারণে প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই বাসা থেকে বের হননি। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে নগরীতে যানবাহনের সংখ্যাও ছিল কম। অতি প্রয়োজনে যারা বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বেরিয়েছেন তারা পরিবহন সংকটসহ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।

কীর্তনখোলার গেজ রিডার আবু রহমান জানান, গতকাল রোববার এই নদীর পানি বেড়েছে আরও ৬ সেন্টিমিটার। আর গত ২ দিনে বৃদ্ধির পরিমাণ অন্তত ১২ সেন্টিমিটার। বর্তমানে নদীর পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, পূর্ণিমার জো’র সাথে যুক্ত হয়েছে টানা বৃষ্টিপাত। এর উপর উত্তরাঞ্চলে সৃষ্ট বন্যার পানি দক্ষিণাঞ্চলের উপর দিয়ে সাগরে নামছে। ফলে কীর্তনখোলার পানির সীমা এখন ২.৬৭ মিটারে অবস্থান করছে। স্বাভাবিক অবস্থায় যা থাকার কথা ছিল ২.৫৫ মিটারে। উজানের কারণে চাপ বেড়ে যাওয়ায় বরিশালসহ বিভাগের অন্যান্য অঞ্চলের নদ-নদীর পানিও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে পানি কমে গেলেও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বরিশাল নগরীসহ জেলা-উপজেলার রাস্তা-ঘাট। পাশাপাশি চাষকৃত বিভিন্ন মৌসুমী ফসলেরও ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে নদ-নদীর জোয়ারে কিছু এলাকা প্লাবিত হলেও ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা কম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শষ্য) তৌফিকুল ইসলাম জানান, পানি উঠলেও তা আবার দ্রুতই নেমে যাচ্ছে। তাছাড়া যেসব বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল তা থেকে ফসলের অঙ্কুরোদগমও ঘটেছে। সপ্তাহখানেক পানি আবদ্ধ হয়ে থাকলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলার কোন সংবাদ এখনও পর্যন্ত তারা পাননি।

নদীবন্দরের সতর্কবার্তায় আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বরিশালের উপর দিয়ে পূর্ব/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এই এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরিশাল কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার গতকাল রাতে জানান, বরিশালে রোববার বিকেল পর্যন্ত ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে আরও ৩ থেকে ৪ দিন।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net