নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌসুমের শুরুতেই বরিশালে সরগরম হয়ে উঠেছে ইলিশ মোকাম। শেষ আষাঢ়ের বৃষ্টিতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। ফলে মোকামে একদিনে ৭ থেকে ৮ মণ ইলিশের আমদানি ঘটছে। আর এ কারণেই কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে বরিশাল পোর্ট রোডের মৎস্য আড়তগুলো।
যদিও সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়নি এখনও। তবে সাগর মোহনাতেই ধরা পড়ছে বিপুল সংখ্যক ইলিশ। আষাঢ় মাস এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণেই ইলিশের এই প্রাচুর্য বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে মোকামে ইলিশের প্রাচুর্য দেখা গেলেও খুচরা বাজারে এর তেমন কোন প্রভাব এখনও পড়েনি। নগরীর বাজারগুলোতে পূর্বের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। সরবরাহ আরও বাড়লে দাম কমার আশা করছেন বিক্রেতারা।
গতকাল সোমবার পোর্ট রোড ঘুরে দেখা গেছে ব্যস্ত সময় পার করছেন সেখানের আড়তদার এবং ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে মাছ ধরা ট্রলারগুলো আসছে একের পর এক। সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মূলত সাগর মোহনা থেকেই মাছ ধরা শেষে ফিরছে ফিশিং বোটগুলো। তবে নদীর মাছও কিছু আছে। বিশেষ করে শনিবার থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরপরই মাছ ধরা পড়ছে জালে। রোববার অন্তত ৮ মণ ইলিশ এসেছে এখানে।
জানা গেছে, গতকাল বোটের ইলিশ বিক্রি হয়েছে মণপ্রতি ১৮ হাজার টাকায়। এছাড়া ৬শ থেকে ৯ শ গ্রাম ওজনের ইলিশের মণ ৩০ হাজার এবং কেজি সাইজের ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভ্যালকা সাইজের ইলিশের মণ ছিল ২২ হাজার টাকা।
এদিকে নগরীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পূর্বের দামেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। ৫ থেকে ৭শ গ্রাম ওজনের ইলিশ গতকাল বিক্রি হয়েছে ৫৫০ থেকে ৭শ টাকার মধ্যে। গত কয়েকদিন ধরে ইলিশের দাম এমনই ছিল। তবে সরবরাহ বাড়লে দামও কমবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
বরিশাল মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ইলিশ মৌসুম। এরই মধ্যে ইলিশের ৬ষ্ঠ অভয়াশ্রম এবং জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে সাগরে মাছ ধরায় এখনও নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। আগামী ২৩ জুলাই শেষ হবে এই নিষেধাজ্ঞা। সে সময় মাছের আমদানিও বাড়বে বলে জানান তিনি।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply