নিজস্ব প্রতিবেদকঃবরিশালে ফের শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।বরিশালের আলোচিত শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনার মধ্যে ২০১৮ সালের ০৫ মার্চ গৃহকর্মী আয়শা নির্যাতন,তার কয়েক মাস পরেই ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর আলোচিত লামিয়া আক্তার মরিয়ম (১০) নামের এক শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন করা হয়।সেই সকল ঘটনায় জরিতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা করা হলেও এখনো মাঝে মধ্যেই শোনা যায় গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা।আজ ১১ই আগস্ট বরিশাল নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দা রিফিউজি কলোনির এক ফ্ল্যাট বাসার দম্পতির দ্বারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেপালিয়ে পুলিশের কাছে আশ্রয় নিয়েছে শিশু গৃহকর্মী আশা (১৩)।
নির্যাতনকারী দম্পতির দাপটের কাছে অসহায় আশার পরিবার মামলা করতে রাজী না হওয়ায় বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আল-আমিন বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আশা নগরীর ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোডের ডেভিড বিশ্বাসের মেয়ে। বর্তমানে আশা পুলিশ ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার রয়েছে। অভিযুক্ত দম্পতি রিফিউজি কলোনির বাসিন্দা বুলবুল বিশ্বাস ও বকুল বিশ্বাস। ঘটনার পরপরই ওই দম্পতি বাসা ছেড়ে পালিয়েছে।
আশা জানায়, ওই বাসায় তার বাবা তাকে কাজে দেয়। কাজে কোনও ভুল-ত্রুটি হলেই মারধর করা হতো। প্রতিদিন তাদের হাতে মার খেতে হতো। কিছুদিন ধরে আমাকে গরম খুন্তির ছ্যাকা ও লোহার রড দিয়ে পেটানো শুরু করে। মঙ্গলবারও আমাকে মারধর এবং খুন্তির ছ্যাকা দেয়। তাদের হাত থেকে বাঁচতে আমি রাতে ওই বাসা থেকে পালিয়ে একটি বাসায় যাই। তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ আমাকে নিয়ে চিকিৎসা করায়।
আশা আরও জানায়, খাবার চাইলে আমাকে পচা ও বাসি খাবার দিতো। প্রতিদিন যা রান্না হতো, তা আমাকে দেওয়া হতো না। ফ্রিজের বাসি-পচা খাবার আমার জন্য রেখে দিতো।
আশার বাবা জানান, দারিদ্রতার কারণে দুই বছর আগে ওই বাসায় কাজে দেন মেয়েকে। ছোট আশাকে সন্তানের মতো রাখার প্রতিশ্রুতি দেন তারা। আমার মেয়ের ওপর মারধরের কথা শুনে একাধিকবার আনতে গেলে বুলবুল বিশ্বাস তার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাকে ফিরিয়ে দেয়। তাদের হুমকির কাছে আমি অসহায় হয়ে খালি হাতে ফিরে আসি। আমার মেয়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পরে মঙ্গলবার রাতে ওই এলাকার এক বাসায় আশ্রয় নিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, পুলিশের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে আগেই বাসা থেকে পালিয়েছে অভিযুক্ত দম্পতি। নির্যাতনকারী বুলবুলের প্রভাবে মামলা করতে ডেভিড বিশ্বাস ভয় পাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply