শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:২৪

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
কলাপাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে ১৯টি বেইলি ব্রিজ

কলাপাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে ১৯টি বেইলি ব্রিজ

dynamic-sidebar

তানজিল জামান জয়, কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার প্রবেশের বিভিন্ন সড়কপথও
অঞ্চলিক মহসড়কগুলোর ১২টি ইউনিয়নে ১৯টি আয়রন ব্রিজের চরম ঝুঁকিপুর্ন। এর মধ্যে অনেকগুলো গড় ১২/১৪বছর ধরে সংস্কারবিহীন। ছোট বড় যে কোনো গাড়ী উঠলেই কেঁপে উঠছে ব্রিজগুলো। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এর মধ্যে চারটি
বিধ্বস্ত হয়েছে। হাজারো সাধারণ মানুষ এ কারণে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। অধিকাংশ ব্রিজের আয়রন স্ট্রাকচার থেকে শুরু সিমেন্টের স্লাব ভেঙ্গে গেছে।

 

গাছ, তক্তা দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজগুলো এখনও ব্যবহার করছে। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কলাপাড়ায় ১৯৯০ সাল থেকে আয়রন ব্রিজ নির্মাণ করা শুরু হয়। এরপর থেকে এসব ব্রিজগুলো স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে আসছে। ভেঙ্গে যেতে থাকে ব্রিজের স্লাবগুলো।

 

এছাড়া নদী কিংবা খালের পানি লোনা থাকায় আয়রন স্ট্রাকচারগুলো জং ধরে নষ্ট হয়ে যায়। ব্রিজগুলো নাজুক হয়ে যায়।
চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তারপরও কখনও উপজেলা পরিষদ, কখনও ইউনিয়ন পরিষদ স্লাবের বদলে কাঠের তক্তা কিংবা খেজুর গাছ পর্যন্ত দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রিজগুলোতে চলাচল সচল রাখেন। তবে অবস্থা এমন হয় যে সবশেষ মধুখালী খালের ওপর আয়রন ব্রিজটি বিধ্বস্ত হয়ে একজন নিহত হন। আহত হয় আরও তিনজন।

 

এরপরও ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজগুলো দিয়ে মানুষ চলাচল করছে। এলজিইডি কলাপাড়া সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়ায় মোট ৩২ ব্রিজের মধ্যে ১৯টি এখন খুব ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। মিঠাগঞ্জ-ডালবুগঞ্জ বাজার ব্রিজ, ধানখালীর কালু মিয়ার হাট আয়রন ব্রিজ, ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদ ভায়া মুসল্লিয়াবাদ নতুনপাড়া ব্রিজ, পক্ষিয়াপাড়া হাট ভায়া মিঠাগঞ্জ বাজার, চাপলী বাজার ভায়া নতুনপাড়া, গোড়াআমখোলাপাড়া ভায়া মম্বীপাড়া, পাটুয়া ফজলু হাওলাদারের বাড়ির সামনের ব্রিজ, ছোট বালিয়াতলী ভায়া বাংলাবাজার ব্রিজ, কালাচাঁনপাড়া ভায়া খাজুরা রোড ব্রিজ, মম্বিপাড়া রোড ব্রিজ, শনিবাড়িয়ার বাজার ব্রিজ, শরীফ বাড়ির ব্রিজ, কোডেক অফিস সংলগ্ন ব্রিজ, উত্তর-পূর্ব চালিতাবুনিয়া ব্রিজ, সলিমপুর-কুমিরমারা ব্রিজ, বানাতিবাজার ভায়া রহিমউদ্দিন ব্রিজ, চান্দুপাড়া বিশ^াস বাড়ির ব্রিজ, তুলাতলী পক্ষিয়াপাড়া ব্রিজ, বাইনবুনিয়া ব্রিজের চরম বেহাল দশা।

 

 

এই ১৯টি আয়রন ব্রিজ এখন মানুষের যোগাযোগের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকির কারণ হয়ে গেছে। কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন জানান, বর্তমানে পুরনো আয়রন ব্রিজের স্থলে সিসি গার্ডার ব্রিজ করা হচ্ছে। এমনকি নতুন নতুন যেসব জায়গায় ব্রিজ দরকার রয়েছে তাও গার্ডার ব্রিজ করা হচ্ছে।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net