বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৫:৫৮

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

বরিশালে টিসিবির পণ্য নিয়েও হাহাকার

dynamic-sidebar

অনলাইন ডেস্কঃ নিত্যপণ্যের লাগামছাড়া দামে হিমশিম খাচ্ছেন বরিশাল নগরের সাধারণ মানুষ। যে কারণে অনেকেই ঝুঁকছেন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্যের দিকে। কেননা বাজারের দামের বিপরীতে টিসিবির পণ্য অনেক কম দামে পাওয়া যায়।কিন্তু টিসিবি থেকে যে পরিমাণ পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে, তার কয়েক গুণ চাহিদা রয়েছে নগরে। যে কারণে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও মানুষ পাচ্ছেন না তেল, চিনি ও ডাল।

 

 

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, একের পর এক ডিলার সংখ্যা বৃদ্ধি করলেও পর্যাপ্ত পণ্য সরবরাহ করছে না টিসিবি কর্তৃপক্ষ। যে কারণে ডিলারদের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে। নগরে শতাধিক ডিলার রয়েছেন বলে টিসিবি সূত্রে জানা গেছে।গত বৃহস্পতিবার বরিশাল নগরের হার্ট ফাউন্ডেশনের সামনে ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়। এ খবরে সেখানে শত শত মানুষ জড়ো হন। একপর্যায়ে পণ্য নিয়ে অনেকটা কাড়াকাড়ি ঘটে। সেখানকার একাধিক গ্রাহক জানান, তেল না পেয়ে তাঁদের ফিরে যেতে হয়েছে। এর আগে একই চিত্র দেখা গেছে বরিশাল নগরের বটতলা ও চৌমাথা এলাকায়।টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, আগে ট্রাক থেকে ৫টি পণ্য বিক্রি করা হলেও এখন সেখানে থাকছে মাত্র ৩টি পণ্য।

 

 

৩টি পণ্যের মধ্যে চিনি ৫৫ টাকা, ডাল ৬৫ টাকা এবং তেল ১১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। যদিও নগরের বাণিজ্যিক এলাকা বাজার রোড ঘুরে গতকাল শনিবার দেখা গেছে, প্রতি কেজি চিনি ৬৫ টাকা, ডাল ৭০ টাকা এবং তেল ১৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।টিসিবি ডিলার মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের বিক্রয়কর্মী মোকলেছুর রহমান জানান, তাঁরা সবশেষ ৬ ফেব্রুয়ারি পণ্য পেয়েছেন। এর আগে গত মাসের ১৭ তারিখ পণ্য পান। কোনো মাসে আবার পাওয়াও যায় না। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, ডিলারের সংখ্যা একের পর এক বাড়ছেই। অথচ ট্রাকের পণ্য করা হয়েছে ৫টির জায়গায় ৩টি।তিনি জানান, সবশেষ চিনি ৩০০ কেজি, ডাল ৩০০ কেজি এবং তেল ৫০০ লিটার বণ্টন করা হয়েছে প্রত্যেক ডিলারকে।

 

 

সেগুলো ১৫০-২০০ জন গ্রাহককে সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। অথচ গ্রাহক চাহিদা রয়েছে ৩-৪ গুণ বেশি।অপর ডিলার শেখ মাসুদ রানা বলেন, ‘নগরে এখন ১০০ এর ওপরে ডিলার রয়েছেন। নতুন করে ডিলার নিয়োগের গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। যে কারণে কোনো মাসে একবার পণ্য আসে, আবার কোনো মাসে একেবারেই আসে না।’টিসিবি কার্যালয়ের বরিশালের অফিস প্রধান আল আমিন হাওলাদারের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

 

 

তবে কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফারুক হোসেন বলেন, ‘স্যারের (অফিস প্রধান) তথ্য দিতে নিষেধ রয়েছে। স্যার বাসায় থাকলে ফোন ধরেন না।’টিসিবির ৪-৫ জন ডিলার জানান, অফিস প্রধান তাঁদের ফোন ধরেন না। তাই মাঠে পণ্য সরবরাহে সমস্যা হলেও জানানো যায় না। টিসিবির বরিশাল কার্যালয়ের একাধিক কর্মচারীও একই কথা জানিয়েছেন।এ ব্যাপারে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশালের জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে সাধারণ মানুষ টিসিবির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। কিন্তু টিসিবির যদি পর্যাপ্ত পণ্য সরবরাহ করতে না পারে, তাহলে ভোগান্তি বাড়বে।’

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net