দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ হয়েছে কয়েকদিন হলো মাত্র। সফর শেষে মঙ্গলবার সকালে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু দেশে ফিরেই বিয়ের পিড়িতে বসে পড়লেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম পেসার তাসকিন আহমেদ। হঠাৎ করে সৈয়দা রাবেয়া নাঈমা নামে এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাসকিন।
তবে বিয়ে পিড়িতে বসেও ভুলে জাননি বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। কারণ তাকে গুরু মানেন দেশের তরুণ পেসার তাসকিন। তাইতো বিয়ে করতে গিয়ে বাবার আসনে বসিয়ে দিলেন ওয়ানডে অধিনায়কে। বিয়েতে তাসকিনের উকিল বাবা হয়েছিলেন মাশরাফিই।
জানা যায়, দীর্ঘ ৭ বছরের বন্ধুত্বের পর কনে রাবেয়া নাঈমার সাথে বিয়ের বন্ধনে জড়ালেন এই বোলার। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি কনভেনশন হলে তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তাসকিন আর রাবেয়া একে অপরকে পছন্দ করে।
তাসকিনের স্ত্রী ঢাকার মোহাম্মদপুরের জৈনপুরের পীর সৈয়দ এ এন এম মাহবুবুর রহমান ও আদর্শ ইসলামী মিশন মহিলা কামিল মাদ্রাসার সুপার সৈয়দা শামসুন নাহার বিলকিসের তৃতীয় কন্যা। রাবেয়া নাঈমা রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সি অব বাংলাদেশের অর্থনীতি বিভাগের স্নাতক শিক্ষার্থী। একই ইউনিভার্সিটিতে তাসকিন আহমেদও অধ্যয়নরত।
জানা গেছে, তাসকিনের জীবনসঙ্গী নাঈমার সঙ্গে দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় মন দেয়া-নেয়ার পর্ব শেষ হয়। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ সাত বছর। পাশাপাশি এলাকায় থাকা, একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা সবকিছুই চলছিল সবার আড়ালে। বিষয়টি দুই পরিবারে মধ্যে জানাজানি হলে এক বছর আগেই পারিবারিকভাবে তাদের আংটি বদল হয়। এরপর থেকেই বিয়ের প্রস্তুতির জন্য তৈরি হচ্ছিল দু’পরিবার।
তবে যে এতো চটজলদি বিয়েটা হয়ে যাবে তা নিজেও বুঝে উঠতে পারেনি মন্তব্য করে ২২ বছর বয়সী এ পেসার বলেন, ‘খেলায় আরো ফোকাস বাড়ানোর জন্য, জীবনটাকে সুন্দর করে গুছিয়ে নেয়ার জন্য বিয়েটা করে ফেলেছি। আর সবচেয়ে বড় কথা আল্লাহর হুমুক হয়েছে সেজন্যই হয়ে গেছে।’ দেশবাসীকে বলবো আমাদের জন্য দোয়া করবেন। এবং আগের মতো যেন খেলার মাঠে ফিরে আসতে পারি সেজন্যও দোয়া করবেন।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply