নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে এক বাকপ্রতিবন্ধি ও তার সঙ্গীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার রাতে উত্তর পলাশপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরীর মা মুন্নি বেগম বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে কাউনিয়া থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছে (যার নম্বর ১৮)। মামলা দায়েরের পরপরই কাউনিয়া থানা পুলিশের তৎপরতায় ধর্ষক দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৬ মে) আসামীদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। সূত্রে জানা গেছে, ৫নং ওয়ার্ড পলাশপুরের বাসিন্দা ভাঙারী ব্যবসায়ী হানিফ মৃধার বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে (১৪) তার সঙ্গী সোহরাবের মেয়ে (১৪) ভিক্ষাবৃত্তি করে। ঘটনার দিন সোমবার (১৪মে) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে নগরীর গীর্জামহল্লা এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল। এ সময় পলাশপুরের বাসিন্দা রশিদ মোল্লার পুত্র চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী কালাম মোল্লা (৫২) ওরফে গাঁজা কালাম তাদেরকে ফুঁসলিয়ে মটর সাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে উত্তর পলাশপুর উত্তরা হাউজিং এর সানুর ফাঁকা মাঠে নিয়ে তাদেরকে ধর্ষণ করে। এ সময় গাঁজা কালামের সহযোগি মিন্টু হাওলাদারের পুত্র মাসুম হাং (২৮) ও তাদেরকে ধর্ষণ করে। মামলা সূত্রে জানা যায় ওইদিন রাতেই তাদেরকে ডিসি অফিসের উত্তরপার্শ্বের একটি ভবনের নিচতলার বারান্দায় রেখে পুনরায় তাদেরকে ধর্ষণ করে গাঁজা কালাম ও তার সহযোগি মাসুম। সকাল হলে তাদের হাতে দুই হাজার টাকা দিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে বলে গাঁজা কালাম। সকাল ১০টার দিকে বাসায় ফিলে বাক প্রতিবন্ধী মেয়েটি চুপচাপ বসে থাকলে তার মা মুন্নি বেগম কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে ইশারায় ঘটনা বলে। এরপর অপর ধর্ষিতাকে জিজ্ঞাস করলে সে ঘটনা খুলে বলে। ধর্ষিতার মা মুন্নি সাথে সাথে কাউনিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করে। মঙ্গলবার দুপুরেই মুন্নি বেগম বাদী হয়ে গাঁজা কালাম ও তার সহযোগি মাসুম হাংকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পলাশপুর কাজীর গোরস্থান এলাকা থেকে গাঁজা কালাম ও নাজিরের পুল এলাকা থেকে মাসুমকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বুধবার (১৬ মে) আসামীদের আদালতে হাজির করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উভয় আসামীকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। থানার এসআই সেলিম জানান, ধর্ষিতাদের মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। আসামীরা কারাগারে রয়েছে। তাছাড়া মামলাটি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজে দেখছেন।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply