অনলাইন ডেস্ক// বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) সদ্য পদত্যাগকারী মেয়র আহসান হাবিব কামালের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটির স্থলে ৩টি জিপ ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিসিসি’র সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, একটি জিপ মেয়রের জন্য বরাদ্দ থাকলেও আহসান হাবিব কামাল ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার মেয়াদকালে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩টি জিপ ব্যবহার করেছেন। মেয়রের জন্য বরাদ্দকৃত (বরিশাল ঘ- ০০৪২) কালো রঙের জিপটি তিনি ঢাকায় ব্যবহার করতেন আর বরিশালে ব্যবহার করতেন দুটি জিপ গাড়ি। এরমধ্যে একটি সোলার প্রকল্পের (বরিশাল ঘ- ০০৮৪) কালো রঙের জিপ অপর (বরিশাল ঘ- ০০২৪) সাদা রঙের জিপটি বরিশাল সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ ছিল।
সোমবার দুপুর ১টায় নগরীর কালুশাহ্ সড়কে বিদায়ী মেয়র কামালের বাসা থেকে ৩টি জিপের মধ্যে সোলার প্রকল্পের (বরিশাল ঘ- ০০৮৪) কালো রঙের জিপটি ফেরত নিয়েছে সিটি করপোরেশন। গাড়িটি নগর ভবনের যান্ত্রিক শাখার গ্যারেজে রাখা হয়েছে।
জিপ চালক মো. কবির হোসেন জানান, তাকে যান্ত্রিক বিভাগ থেকে মেয়রের বাসা থেকে জিপ গাড়িটি এনে গ্যারেজে রাখতে বলা হয়েছে। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে গাড়িটি মেয়রের বাসা থেকে এনে সিটি করপোরেশনের রেখেছেন।
বিসিসি’র যান্ত্রিক শাখা সূত্র জানায়, সিটি মেয়র ৩টি জিপ ব্যবহার করতেন। মেয়রের জন্য বরাদ্দকৃত জিপটি তিনি ঢাকায় , আর বরিশালে দুটি ব্যবহার করতেন। ঢাকায় ব্যবহার করা এবং আরও একটি জিপ এখনও বিদায়ী মেয়রের হেফাজতে রয়েছে।
সিটি করপোরেশনের যান্ত্রিক শাখার সহকারী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম টিপু জানান, সকালে বিদায়ী মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ হোসেন মেয়রের ব্যবহৃত জিপ গাড়িটি নিয়ে যেতে অনুরোধ করেন। তারা চালক পাঠিয়ে গাড়িটি এনে করপোরেশনের গ্যারেজে রেখেছেন।
বিষয়টি জানতে সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসমা আক্তার রুমির ব্যবহৃত মুঠোফোনে দুপুরে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
তবে সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বর্তমানে ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, তিনি দু’মাস আগে সিটি করপোরেশন থেকে বদলি হয়েছেন। দু’বছরের বেশি সময় তিনি বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন। তার (মো. ওয়াহিদুজ্জামান) মেয়াদকালে মেয়র আহসান হাবিব কামাল ৩টি জিপ গাড়ি ব্যবহার করতেন বলে জেনেছেন।
প্রসঙ্গত, দায়িত্ব পালনে ক্ষমতাসীনদের বাধা সৃষ্টির অভিযোগে গত ১ অক্টোবর নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিদায়ী সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গত ৪ অক্টোবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply